ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর্থিক খাতে ঝুঁকি নেই: অর্থমন্ত্রী  

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ৩১ মার্চ ২০২১  
করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর্থিক খাতে ঝুঁকি নেই: অর্থমন্ত্রী  

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (ফাইল ছবি)

আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বিপদের আশঙ্কা না থাকলে বাংলাদেশ বিপদে পড়বে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আর্থিক খাতে কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা দেখছি না।’ বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে  সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির  ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিশ্ব অর্থনৈতিক অঙ্গনে একে অন‌্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফলে  আমাদের ক্রেতারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদেরও কষ্ট হবে। আমাদের আয়ের দুটা সোর্স, একটা অভ্যন্তরীণ বাজার, আরেকটা আন্তর্জাতিক বাজার।’

করোনার প্রথম দফায় অভ্যন্তরীণ খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। সেকেন্ড দফায়ও এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, কী পরিমাণ ক্ষতি হবে, তার ওপর বিষয়টি নির্ভর করবে। এটা শুধু আমাদের ওপর নির্ভর করে না, আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে, তাহলে আমরাও বিপদে পড়বো না। আমরা বিপদটা এক্সচেঞ্জ করতে পারবো।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক দেশই ভ্যাকসিন নিয়ে নিয়েছে। সবাই ভ্যাকসিন নিচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়া শেষ হয়ে গেলে করোনার প্রভাবটা কমে আসবে। এটাই এখন সারাবিশ্ব প্রত্যাশা করছে। যেখানে যেখানে ভ্যাকসিন দিয়েছে  সেখানে করোনা কমে আসছে। আমরা এই প্রত্যাশা নিয়েই আছি।’

সম্প্রতি জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক প্রজেকশন করার ক্ষেত্রে তারা যে সব ধারণা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে, সেগুলো অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সঙ্গে মিল থাকে না, সেজন্য অসামঞ্জস্য থাকে। তাদের নিয়ম হচ্ছে তারা শুধু দেখবে আমাদের মেথলজি সঠিক কি না। আমরা যে ম্যাথডে জিডিপি নির্ধারণ করি, সেই ম্যাথডটা ঠিক আছে কি না। যে সব প্যারামিটার রয়েছে, সেগুলো যথাযথভাবে সলভ করি কি না, সেগুলো দেখলেই তারা সেটিসফাইড।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে আমরা যা হিসাবে আনি, তারা সেটা দেখে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করে। আমি মনে করি, তাদের সঙ্গে যে তফাৎ, সেটা সাময়িক, চূড়ান্তভাবে আমাদের বছর যখন শেষ হবে, আমরা যেটা হিসাবে আনবো। যেটা আমরা পাবো হিসাবে, সেটা তারাও মেনে নেবে। এই মুহূর্তে আমরা হিসাব চূড়ান্ত করিনি। আমরা প্রজেকশন করি না, চূড়ান্ত করার পর ফিগারটা দেই। তারা তিন মাসে বা বিভিন্ন সময় প্রজেকশন করে, আমরা সেটা করি না।’

করোনার  ভ্যাসকিন  নিয়ে  বিবিসি’র এক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন  না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এ ধরনের কোনো ম্যাসেজ আমার কাছে নেই। নানাজন নানা কথা বলবে। আমরা ভ্যাকসিনের জন্য ইতোমধ্যে টাকা পরিশোধ করেছি। ভ্যাকসিন আমরা না পাওয়ার কারণ নেই। আজও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’

করোনা সংক্রমণ অনেক বাড়ছে, গত বছরের মতো এই বছরও অফিস-আদালত বন্ধের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন্যতম একটি বিষয় হলো ভ্যাকসিন, ভ্যাকসিনের কাজ চলমান রয়েছে। এখানে কিছু বিষয়কে সামনে রেখে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করবে। এরই মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কিছু নির্দেশনা জানিয়েছেন। সেই নির্দেশনাগুলো পরিপালন করা হবে।’ সেগুলো পরিপালন করলে করোনা সংক্রমণ কমে আসবে বলেও তিনি মনে করেন। 

/হাসনাত/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়