ঢাকা     সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসছে ৫০ লাখ মানুষ

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ৮ মার্চ ২০২২  
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসছে ৫০ লাখ মানুষ

করোনা মহামারির মধ্যে বিপুলসংখ্যক মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে ইতোমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশকিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় খাদ্য মন্ত্রণালয় আরও ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে  অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে খাদ্য কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে লেখা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিবাচক দৃষ্টিতে চিন্তা করছে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তঅ বলেছেন, বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা যোগ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা নীতিগতভাবে একমত। তবে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে একটু সময় লাগবে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই রমজান মাসে সারা দেশে এক কোটি দরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে অর্থ বিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান।

তিনি বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে, সরকার দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য বিক্রির জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।  যা চলতি অর্থবছরে ১,২০০ থেকে ১,৫০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এই মুহূর্তে অন্য কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া খুব একটা কার্যকর হবে না।  তবে চলমান প্রকল্পের আওতায় সহায়তা বাড়ানো যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা যেতে পারে।

সূত্র জানায়, সাধারণত একটি দরিদ্র পরিবার ধান কাটার আগে মার্চ এবং এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে কৃষকের হাতে তেমন অর্থ থাকেনা। এ সময় তাদের সহায়তা হিসেবে প্রতি মাসে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ মোট ৭.৫০ লাখ টন চাল বিতরণ করে যার আনুমানিক মূল্য ৪,০০০ কোটি টাকা। তবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে এ কর্মসূচির অর্থ ব্যয় দ্বিগুণ হত পারে। প্রতি কেজি চাল ১০ টাকা হিসেবে ৩০ কেজি চাল এক কোটি মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ করতে মোট ৮,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই উপজেলা চেয়ারম্যানদের এই কর্মসূচির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সুবিধাভোগীদের একটি নতুন তালিকা তৈরি করতে বলেছি এবং তাদের খাদ্য কার্ড সরবরাহ করতে বলেছি।  অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সারা পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

/হাসনাত/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়