ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

‘যার নেতৃত্বে খোকা সংগ্রাম করলেন, তিনিই নেই এসময়’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৫ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘যার নেতৃত্বে খোকা সংগ্রাম করলেন, তিনিই নেই এসময়’

‘যার নেতৃত্বে খোকা সংগ্রাম করলেন, তিনিই প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন না’ বলে  একইসঙ্গে খালেদা জিয়া  ও সাদেক হোসেন খোকার জন‌্য আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তার (বেগম খালেদা জিয়া) কাছে আমরা সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি, কিন্তু এই সংবাদ শোনার পর উনার যে প্রতিক্রিয়া, উনার যে অনুভূতি, সেটা উনি দিতে পারছেন না। কারণ উনি মিথ্যা মামলায় কারাগারে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের, অত্যন্ত কষ্টের। যার নেতৃত্বে বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজের দলের নেতা খোকার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছেন না। তার কষ্ট, অনুভূতিগুলো বলতে পারছেন না।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ সাবেক মেয়র খোকার বাসভবনে স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খোকার গোপীবাগের বাসায় পৌঁছার পর শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে খোকার ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলের সাথে স্বাক্ষাত করেন। শোকাবহ পরিবারকে সদস্যদের সান্তনা দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।

খোকার রাজনৈতিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকার পুরো রাজনৈতিক জীবনটা অনেক বর্ণাঢ্য ও সফল। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একজনের কাছেই পরাজিত হয়েছিলেন, এই সাদেক হোসেন খোকার কাছে। তিনি বলেন, খোকার প্রতি সকলের ভালোবাসা আছে, মমত্ববোধ আছে। তার প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল। আমরা খোকাকে যেভাবে চিনি, তিনি মূলত একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং একইসঙ্গে গণতন্ত্রের সংগ্রামী ও লড়াকু সৈনিক। গণতন্ত্রের জন্য তিনি তার শরীরের রক্ত ঝরিয়েছেন, জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রের জন্য কথা বলেছেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়েই তিনি ঠিকমতো তার চিকিৎসা করাতে পারেননি। কারণ গণতন্ত্রের লড়াই করার জন্য তাকে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। এই লড়াকু মানুষটির শূণ্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়।’

সাদেক হোসেন খোকার দেশে ফেরার জন্য তার তীব্র আকাঙ্খা ছিল জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি জীবিত অবস্থায় শঙ্কায় ছিলেন দেশে ফিরতে পারবেন কিনা, দেশে তার মাটি হবে কিনা? এই বিষয়টি নিয়ে তার উদ্বেগ ছিল। ’

মির্জা ফখরুল ছাড়াও সাদেক হোসেন খোকার বাসভবনে উপস্থিত হয়ে শোক বইতে স্বাক্ষর করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এড. সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবী, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য  শায়রুল কবির খানসহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা।


ঢাকা/সাওন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়