জাতীয় পার্টির পক্ষেই সুশাসন দেওয়া সম্ভব: আব্দুস সবুর
কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেছেন, “পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন এ দেশের সবচেয়ে দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ৪০ বছর আগে যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন, এখন সবাই সেই উন্নয়ন ও সংস্কার নিয়ে চিন্তা করছেন।”
সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোকসভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেন, “রাজধানীর উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতিচিহ্ন রয়ে গেছে। বিজয় স্মরণী, রোকেয়া স্মরণী, পান্থপথসহ অসংখ্য সড়ক নির্মাণ করে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ উন্নত করেছেন তিনি। রাজধানীর প্রতিরক্ষা বাঁধ, সিটি করপোরেশন ভবনসহ অসংখ্য স্থাপনা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়নের স্বাক্ষী হয়ে আছে।”
দেশের মানুষ আবারো পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির দেশ পরিচালনা দেখতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়। শুধুমাত্র জাতীয় পার্টির পক্ষেই সুশাসন দেওয়া সম্ভব। গণতন্ত্র ও জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় পার্টির বিকল্প নেই।”
“পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিতে হবে। দেশের মানুষ একমাত্র জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টিকে বিশ্বাস করে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে”, যোগ করেন মীর আব্দুস সবুর আসুদ।
সভা শেষে একটি শোক র্যালি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর আগে, আজ সকাল ৮টায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল মিলনায়তনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় কুরআন খতম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চত্বরে পল্লীবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা, আলমগীর সিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন, ইঞ্জিনিয়ার মঈনুর রাব্বী রুমন চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান, মো. খলিলুর রহমান খলিল, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, নুরুজ্জামান জামান, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মো. হেলাল উদ্দিন, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- এম এ সোবহান, আক্তার হোসেন দেওয়ান, হুমায়ুন খান, যুগ্ম মহাসচিব সামসুল হক, আব্দুল হামিদ ভাসানী, শামীম আহমেদ রিজভী, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, দ্বীন ইসলাম শেখ, চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মিজানুর রহমান মীরু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য- মাহমুদ আলম, মোড়ল জিয়াউর রহমান জিয়া, ক্বারী ইছারুহুল্লাহ আসিফ, জাকির হোসেন মৃধা, আজহারুল ইসলাম সরকার, সামছুল আলম লিপটন।
উপস্থিত ছিলেন- বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ, গোলাম মোস্তফা, শেখ সারোয়ার হোসেন, মোস্তাইন বিল্লাহ, সমরেশ মন্ডল মানিক, লোকমান ভূইয়া রাজু, মো. নাজিমুদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের বাদল, মাহবুবুর রহমান খসরু, ফররুখ আহমেদ, আব্দুল কুদ্দুস মানিক, শফিকুল আজম মুকুল, শ্রমিক নেতা শেখ মোহাম্মদ শান্ত, মোটর শ্রমিক নেতা মেহেদী হাসান শিপন, আব্দুর রহিম, ছাত্র সমাজের সদস্য সচিব মো. আরিফ আলী, মোক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ