৫৪ বছর পরও দেশ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা যায়নি: আনিস
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রধান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি বলেন, “যেকোনো মূল্যে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থেকে উদার গণতান্ত্রিক, সাম্য, মৈত্রী, প্রগতি ও বৈষম্যহীন একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে—যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন মহান মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা সেই কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের হালদার টাওয়ারে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে এই কর্মসূচিন আয়োজন করে জাতীয় পার্টি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও জোটের মুখপাত্র এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টি–জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকা, জে পি বি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মিলন এবং ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, নাসরিন জাহান রত্না, সর্দার শাহজাহান, নাজনিন সুলতানা নাজনীনসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে, পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা মহান বিজয় অর্জন করি। তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির গৌরব, আত্মপরিচয় ও অস্তিত্ব।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, “পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন ঘোষণা করেছিলেন—মুক্তিযোদ্ধারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সম্প্রসারণ করেন এবং দেশের প্রতিটি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের জন্য জমি বরাদ্দ দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তিনি অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়াত এরশাদের অবদান ছিল অনন্য।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ