ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘দেশে মডেল জেলা হবে কুড়িগ্রাম’ 

বাদশাহ্ সৈকত, কুড়িগ্রাম  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪১, ৬ নভেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৩:২১, ৬ নভেম্বর ২০২১

উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রাম। জেলার সব বিভাগে গত একযুগে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় ভবন, সড়ক-ব্রিজ, কালভার্ট, নদ-নদী ভাঙন রোধে চলমান রয়েছে প্রায় ২১০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এছাড়াও দেশের সবচেয়ে বড় বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে সড়ক, ব্রিজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বিদ্যুৎসহ উন্নত জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণে এগিয়ে চলছে উন্নয়ন কার্যক্রম। 

জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় ১১টি প্রকল্পের মাধ্যমে লালমনিরহাট-ফুলবাড়ী সড়কে ধরলা নদীর উপর ৯৫০ মিটার শেখ হাসিনা সেতু, ৭৩৭ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন, ১৪টি ব্রিজ, ৮ উপজেলায় ৮টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, ৭৩টি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের আওতায় ১৮১ কিলোমিটার সড়ক, ১৭টি নতুন ব্রিজ, ২টি মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘর, ১৯টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাজ চলমান রয়েছে। তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুর রহমান।

আরও পড়ুন-ধারাবাহিক উন্নয়নে চিত্র বদলেছে হবিগঞ্জে

কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ বছরের মধ্যে রৌমারী নতুন স্থলবন্দর সড়কসহ ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক ও ৩টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। জেলা শহর থেকে রাজারহাট উপজেলা হয়ে তিস্তা পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি ব্রিজ ও দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। উলিপুর থেকে বজড়া হয়ে চিলমারী পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়ক ও একটি ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। 

এছাড়াও কুড়িগ্রাম থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা হয়ে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এই সড়কে ৪টি সেতু ও একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে মাদারগঞ্জ হয়ে নাগেশ্বরী পর্যন্ত সড়ক ও একটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে।

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অফিস জানায়, গত ১২ বছরে ৪০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (প্রতিটি ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে) ৪০টি চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার ২৩৬টি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় নতুন ভবন, ঊর্ধ্বমুখী ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে। 

জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহাজাহান আলী বলেন, প্রতি উপজেলায় গড়ে ৬০টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫ থেকে ২০টির উন্নয়ন কাজ হয়েছে। বাকিগুলোতেও পর্যায়ক্রমে উন্নয়নমূলক কাজ হবে।

গত ১২ বছরে কুড়িগ্রামে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর ভাঙন রোধ প্রকল্পে। ৩০২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষায় ৯টি প্যাকেজে ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ভাঙন রোধে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন-একযুগে নতুন রূপে ধানের জেলা দিনাজপুর 

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী থেকে ফলুয়ার চর ঘাট এবং রাজিবপুর উপজেলার মেম্বার পাড়া থেকে মোহনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধে বাম তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৪৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষার কাজ চলমান রয়েছে। এরমধ্যে রৌমারী উপজেলায় ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার ও রাজিবপুর উপজেলায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। ২৪টি প্যাকেজে এই কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়াও জেলার অভ্যন্তরে ছোট নদী, খাল, জলাশয় পুনরায় খনন প্রকল্পের আওতায় ৮টি প্যাকেজে ৪টি খালের খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও আরও একটি খালের খনন কাজ চলমান রয়েছে। এদিকে, বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই হাকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দরে’ খ্যাত চিলমারী নৌ-বন্দর চালুর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৪০টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮তলাবিশিষ্টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, ১৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলা সদরে সার্ভার স্টেশন ভবন, বিভিন্ন উপজেলায় ৯টি ভূমি অফিস, সদর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, উলিপুর ও রাজারহাট উপজেলায় ৭টি খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়েছে। 

চিলমারী, রৌমারী ও সদর উপজেলায় তিনটি ফায়ার স্টেশন, সহকারী পরিচালকের অফিস কাম বাসভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি হোস্টেল নির্মাণ, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস কাম রেকর্ড রুম, সিআইডি অফিস, পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্যানিটারি এবং ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্ক ভবন, পাঁচ উপজেলায় পাঁচটি থানা কাম ব্যারাক ভবন, রাজারহাট উপজেলা কৃষি আবহাওয়া গবেষণাগার, কুড়িগ্রামে পুলিশ লাইনে বিদ্যমান ৩০০ ফোর্সেস ব্যারাক ভবনের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ, জেলা মৃক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এবং জেলা মহিলা কারারক্ষীদের জন্য আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৬ তলা ভীতবিশিষ্ট ৫ম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল ইসলাম।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৮ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে কুড়িগ্রামের টগরাইহাট এলাকায় পাওয়ার গ্রিড স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিড থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে।  

জেলার উন্নয়নে ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর ও রৌমারীতে নতুন বন্দর নামে স্থলবন্দর চালু করা হয়েছে। নতুন স্থলবন্দর দিয়ে স্বল্প পরিসরে ইমিগ্রেশন চালু হলেও সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সোনাহাট স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক অফিসের পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা নিউ টাউন পার্ক পুকুরটি সংস্কার করে চারদিকে চলাচলের রাস্তাসহ দর্শনার্থীদের জন্য বসার বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে এ পুকুরটির উন্নয়ন করা হয়েছে।

জেলা শহরের কেন্দ্রবিন্দু কলেজ মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে সরকারি গণগ্রন্থাগার। কুড়িগ্রাম পৌরসভার উন্নয়নে কলেজ মোড় এলাকায় শেখ রাসেল অডিটোরিয়াম এবং পৌর মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। পুরাতন গ্যালারি ও অফিস ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে কুড়িগ্রাম ক্রিড়া সংস্থার স্টেডিয়াম। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের পাশে সোনালী ব্যাংক ভবনও হয়েছে। নির্মিত হচ্ছে জেলার ৯ উপজেলায় ১৩টি মডেল মসজিদ।

ঢাকার সঙ্গে জেলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চালু করা হয়েছে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামে আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পাস হয়েছে। চলছে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে স্থান নির্ধারণসহ অন্যান্য কার্যক্রম।

মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২ হাজার ৬৩৯টি সেমিপাকা ঘর পেয়ে নতুন স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে কুড়িগ্রামের ভূমিহীন ও দুস্থ পরিবারগুলো। 

দীর্ঘ ৬৮ বছরের আন্দোলনের পর দু’দেশের সরকারের সমঝোতায় ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে বিনিময় হয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ও ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ৫১টি ছিটমহল। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় ছিটমহল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দাসিয়ার ছড়া। এর আয়তন ৬ দশমিক ৬৫ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৬ হাজার ৫২৯ জন। বিনিময়ের পর থেকে এখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। 

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই ৬ বছরে দাসিয়ার ছড়ায় ২৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, কমিউনিটি ক্লিনিক, শতভাগ বিদ্যুতায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন করা হয়েছে। চলমান রয়েছে ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঘর দেওয়ার কার্যক্রমও। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যে উন্নয়ন হয়নি, তা গত ১২ বছরে হয়েছে। নদী শাসন, রাস্তা-ঘাটসহ সব সেক্টরের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। সোনাহাট স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণসহ ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ‘সোনাহাট ব্রিজ’-এর পাশে ব্রিজ, কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত ৪ লেন সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে এবং কুড়িগ্রাম আর পিছিয়ে পড়া জেলা থাকবে না বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি এমপি হওয়ার পর ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ ঘোচানোর জন্য ধরলা নদীর ভাঙন রোধে ৫৯৪ কোটি, ব্রহ্মপুত্র নদে ৬৯২ কোটি, রাজিবপুরের ভাঙন রোধে ২১৭ কোটি টাকার কাজ চলমান রেখেছি। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে। এ জেলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায়। সব মিলে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে ও চলমান রয়েছে। 

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এমএ মতিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের মতো পিছিয়ে পড়া অবহেলিত কুড়িগ্রামের উন্নয়নে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। পলাশবাড়ী থেকে ভুরুঙ্গামারী সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপর ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। চিলমারী নৌ-বন্দর স্থাপনের কার্যক্রমও প্রক্রিয়াধীন। 

তিস্তার ভাঙন রোধ ও উন্নয়নে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এক কথায় আগামী দিনে কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এবং এ জেলা সারাদেশের মধ্যে একটি মডেল জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করার পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলায় কর্মমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে বেকার সমস্যা সমাধান করা গেলে আর পেছনে তাকাতে হবে না। জেলার একমাত্র কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আর কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই।

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়