লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
লক্ষ্মীপুরের একটি সয়াবিন ক্ষেত
লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দুই একদিনের মধ্যে সয়াবিন ঘরে তুলতে পারবেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, পরামর্শের পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগিতার কারণে এ বছর জেলায় সিয়াবিনের উৎপাদন ভালো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে সয়াবিন থেকে এ বছর ৩০০ কোটি টাকারও বেশি আয় হবে।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, দেশের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সয়াবিন উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়ায় এ জেলা সয়াবিনের রাজধানী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এই সয়াবিন হাঁস-মুরগির খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সয়াবিন চাষে জমিতে বাড়তি কোনো ঝামেলা নেই বলে অল্প খরচে বেশী লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলে জানান কৃষকরা। তবে, ভালো ফলনেও এ বছর দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। জেলায় সয়াবিন প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি সরকারিভাবে সয়াবিন সংরক্ষণের দাবি তাদের।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনি মোহন এলাকার কৃষক হাফেজ আহম্মেদ, আমান উল্যাহ ও সেকান্তর মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সয়াবিন চাষে তাদের বাড়তি ঝামেলা নেই। শুধু জমি চাষাবাদ করে বীজ বপন এবং একটু পরিচর্জাতেই কাঙ্খিত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।
চাষিরা আরো জানান, তারা মহাজনদের কাছ থেকে উৎপাদিত সয়াবিনের ন্যায্য মূল্য পাননা। সরকারিভাবে সয়াবিন ক্রয় করলে কৃষক সঠিক মূল্য পেতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. জাকির হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে চাষিরা উন্নতজাতের বীজ বোপন ও সুষম সারের ব্যবহার করেছেন। ফলে এবার সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে। এ বছর লক্ষ্মীপুরে জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য ৩০০ কোটি টাকার বেশি হবে।
জাহাঙ্গীর লিটন/ মাসুদ
আরো পড়ুন