ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বেতন-ভাতা নিয়ে শঙ্কায় ব্রোকারেজ হাউজ-মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মচারীরা

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ২০ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেতন-ভাতা নিয়ে শঙ্কায় ব্রোকারেজ হাউজ-মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মচারীরা

করোনার প্রতিরোধে সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ রয়েছে পুঁজিবাজার। বন্ধ রয়েছে এই খাতসংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোও। দীর্ঘ এই ছুটিতে লোকসান গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরফলে বেতন-ভাতা নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে এসব প্রতিষ্ঠানের  কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত ২৫০টি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৪৮টি ব্রোকারেজ হাউজ রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ব্রোকারেজ হাউজ উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেরই সদস্য। আর মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে ৬২টি। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি রয়েছে ৪৬টি। এসব ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির প্রায় ১ হাজা ৩০০ শাখা রয়েছে। যেখানে কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে।

জানতে চাইলে ব্রোকারজ হাউজ আল মুন্তাহা ট্রেডিং কোম্পানির একজন ট্রেডার্সের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসেই বেতন পেয়েছি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এপ্রিল ও মে মাসের বেতন পাব কি না, তা নিয়ে চিন্তিত।’

দৈনিক বাংলার বিএসসি টাওয়ারের ইবিএল সিকিউরিটিজের এক্সটেনশন অফিসের ইনচার্জ মো. আসাদুর রহমান বলেন, ‘এই সময়ে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার আওতায় আনা উচিত। প্রতিষ্ঠানগুলো  স্বল্প সুদে ঋণ পেলে কর্মীদের বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া ও অন্যান্য খরচ পরিশোধ করতে পারবে।’

এ বিষয়ে ডিএসই’র পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বাজার খারাপ যাচ্ছে। অনেক ছোট-বড় ব্রোকারেজ হাউজ লোকসানে রয়েছে। এর মধ্যে করোনার কারণে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো চিন্তিত। ইতোমধ্যে অধিকাংশ হাউজ তাদের কর্মীদের মার্চের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছে। তবে, এ আপৎকালের জন্য কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটি একটা বড় চাপ।’ এই সময়ে রানিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ পেলে ব্রোকারেজ হাউগুলোর চাপ কমতো বলেও তিনি মনে করেন।


ঢাকা/এনটি/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়