ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শেয়ারের দাম ৫ টাকার কম, লোকসানে বিনিয়োগকারীরা

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২৩ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
শেয়ারের দাম ৫ টাকার কম, লোকসানে বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজারে বিভিন্ন খাতে তালিকাভুক্ত ২০টি কোম্পানির শেয়ার কম দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যাশিত লভ্যাংশ ও শেয়ারে মুনাফা আশায় এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে এখনও লোকসান গুনছেন বিনিয়োগকারীরা।

তাদের অভিযোগ, ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির ব্যবসা ভালো না হওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ আর্থিক হিসাব বছরের জন্য কোনও লভ্যাংশ দেয়নি। ফলে কোম্পানগুলো বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। বাকি ৪টি কোম্পানি নামমাত্র লভ্যাংশ দিয়ে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।

সোমবার (২২ জুন) বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অভিহিত মূল্যের (১০ টাকা) চেয়েও কম তথা ৫ টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে ২০টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে প্রিমিয়ার লিজিং ৪.৯ টাকায়, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল ৪.৮ টাকায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ৪২ টাকায়, ফাস ফাইন্যান্স ৪ টাকায়, ঢাকা ডাইং ৩.৮ টাকায়, আরএন স্পিনিং ৩.৭ টাকায়, জাহিনটেক্স ৩.৬ টাকায়, ডেল্টা স্পিনিং ৩.৫ টাকায়, পিপলস লিজিং ৩ টাকায়, অ্যাপেলো ইস্পাত ২.৮ টাকায়, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ২.৮ টাকায়, তাল্লু স্পিনিং ২.৭ টাকায়, বিআইএফসি ২.৬ টাকায়, কেয়া কসমেটিক্স ২.৫ টাকায়, ফাইস্ট ফাইন্যান্স ২.৪ টাকায়, জেনারেশন নেক্সট ২.২ টাকায়, তুংহাই নিটিং ১.৯ টাকায়, ফ্যামিলি টেক্স ১.৮ টাকায়, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ১.৭ টাকায় ও ইউনাইটেড এয়ার ১.৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার ধারাবাহিক পতন রোধে বেঁধে দেওয়া ফ্লোর প্রাইসের কারণে এসব কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা তলানিতে রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থ আটকে থাকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আর দীর্ঘদিন থেকে এসব শেয়ার ২ থেকে ৫ টাকার মধ্যে লেনদেন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে অভিষেকের সময় কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা থাকলেও এখন কদর কমেছে। মূলত বিনিয়োগকারীদের অনাস্থার কারণেই কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বর্তমানে তলানিতে নেমে এসেছে। ফলে যারা ওই শেয়ারগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বাইব্যাক আইন চালু হলে অভিহিত মূল্যের নিচে শেয়ার দর নামলে তা কিনে নেবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। তখন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিনিয়োগকারী প্রত্যাশিত মুনাফা ও লভ্যাংশ পাওয়ার আশায় কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে থাকেন। তবে অনেক সময় ব্যবসা ভালো না হওয়া কারণে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয় না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন বিনিয়োগকারীরা। কোনও কোনও সময় বিভিন্ন কারণে কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাই কোনও কোম্পানি তালিকাভুক্তির আগে ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে জানা দরকার।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কোম্পানিগুলো ভালো লভ্যাংশ দেবে এমন প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা সে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। কিন্তু বছর শেষে কোম্পানিগুলো ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেন। এছাড়া বর্তমানে অনেক কোম্পানির আর্থিক অবস্থা খারাপ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

 

এনটি/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়