ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ঈদের ছুটিতে রাস্তায় স্বেচ্ছাচারী সিএনজি চালকরা

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১৫ মে ২০২১   আপডেট: ১০:০৩, ১৬ মে ২০২১
ঈদের ছুটিতে রাস্তায় স্বেচ্ছাচারী সিএনজি চালকরা

ফাইল ফটো

ঈদের পরের দিন রাজধানীর পল্টন থেকে হাতিরঝিলে সপরিবারের বেড়াতে যাবেন আয়নাল হোসেন। যেহেতু, সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটারে যাবে না, তাই তিনি ভাড়া কত, তা জানতে চাইলেন চালকের কাছে। চালক ভাড়া চাইলেন ৪০০ টাকা। শুনে চোখ কপালে ওঠে আয়নালের! একে তো ফাঁকা রাস্তা, তার ওপর মিটারে যেতে চায় না; আবার ভাড়াও চাইলো এত! এ যেন ডাকাতি। উপায়ন্তর না দেখে পরিবারের সদস‌্যদের নিয়ে দুটি রিকশায় করে রওনা দিলেন তিনি।

স্বাভাবিক দিনে এমনিতেই সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ইচ্ছে হলে যায়, ইচ্ছে না হলে যায় না। ভাড়াও চায় মনমতো। ঈদকে কেন্দ্র করে এই স্বেচ্ছাচারিতা বেড়েছে কয়েক গুন।

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে আসা মানুষদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ঈদে এমনিতেই গণপরিবহনের সংকট, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই গণপরিবহনে না উঠে সিএনজি অটোরিকশার দ্বারস্থ হচ্ছেন। এই সুযোগে চালকরা ভাড়া বাড়িয়েছেন ইচ্ছেমতো। ঈদ উপলক্ষে ‘একটু-আধটু’ ভাড়া বেশি নেন বলে স্বীকারও করেছেন কয়েকজন সিএনজি চালক।

রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাচালকের সঙ্গে প্রচণ্ড বাকবিতণ্ডা করতে দেখা যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবির মাহামুদকে। কাছে গিয়ে জানা গেলো, সেখান থেকে বনশ্রীর ভাড়া চেয়েছে ৫০০ টাকা। ভাড়া শুনে মেজাজ হারিয়ে হাবিব জড়িয়ে পড়েছেন তর্কে।

ঈদে সিএনজি চালকদের এই স্বেচ্ছাচারিতা থামাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই স্বেচ্ছাচারিতা চললেও সিএনজি অটোরিকশাকে একটা নিয়মের মধ্যে আনা যায়নি। উবার, পাঠাওয়ের মতো অ্যাপভিত্তিক সেবার মাধ্যমে সরকার এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তারা। 

সিএনজি অটোরিকশাচালক সিকান্দার মোল্লা বলেন, ‘মিটারে গেলে খরচ ওঠানো দায় হয়ে যায়। পুরো দিন গাড়ি চালিয়ে মালিককে ১ হাজার ১০০ টাকা দিতে হয়। গ্যাসের খরচসহ অন‌্যান‌্য ব‌্যয় আছে। সব হিসাব মেলালে মিটারে গাড়ি চালিয়ে আমাদের পোষায় না। ঈদের সময়ে বকশিশ হিসেবে কিছু ভাড়া বেশি চাই।’

রাজধানীতে সাত বছর ধরে সিএনজি অটোরিকশা চালান হাবিব সরদার। তিনি মনে করেন, অতিরিক্ত ভাড়া যারা চান, তারা অমানবিক আচরণ করেন। তিনি কখনো অতিরিক্ত ভাড়া নেন না।

হাবিব বলেন, ‘যাত্রী খুশি হয়ে কিছু বেশি দিলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু তাদের কাছ থেকে জোর করে বকশিশের নামে বেশি ভাড়া চাওয়া অন্যায়। সব সিএনজিচালক নয়, কিছু কিছু সিএনজি চালক এটা করে।’  

পারভেজ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়