ঢাকা     মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির শরিকদের ভাবনা

মেসবাহ য়াযাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২ মে ২০২৩  
যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির শরিকদের ভাবনা

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিসহ বিএনপির ১০ দফা, গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা ও জামায়াতে ইসলামীর ১০ দফার ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। ঈদের পর আন্দোলনকে আরও বেগবান করার পরিকল্পনা নিয়ে শিগগির নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি ও এর শরিক দলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনো ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করা হয়নি।

গত ফেব্রুয়ারিতে যৌথ ঘোষণাপত্রে ৭ দফা দাবির একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু, তা থেকে বর্তমানে বিএনপি অনেকটা সরে এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ফলে, যৌথ ঘোষণাপত্র এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি। এ নিয়ে কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ বিষয়ে বিএনপি এখনও তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করায় অন্য শরিকদের মধ্যে চাপা অসন্তোষ আছে বলে জানা গেছে।

শরিক দলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার দাবি, এককভাবে দেওয়া বিএনপির ১০ দফা মানুষ গ্রহণ করেছে। যুগপৎ আন্দোলনের এই ১০ দফা থাকা সত্বেও গণতন্ত্র মঞ্চের চাপে আরও নতুন কিছু দফা প্রণয়নে বাধ্য হচ্ছে বিএনপি। শরিক দলের অনেকে বিএনপির ১০ দফার সঙ্গে একমত পোষণ করে নতুন দফার ব্যাপারে দ্বিমত প্রকাশ করলেও তারা এ ব্যাপারে প্রধান শরিক দল বিএনপির স্পষ্ট অবস্থান জানতে চায়।

অন্যদিকে, যৌথ ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে বিএনপির দাবি, যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির যে ১০ দফা আছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ বিষয়ে শরিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। সবকিছু আলোচনার মধ্যে আছে, খুব তাড়াতাড়ি এটা চূড়ান্ত করা হবে বলেও মনে করেন বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন নেতা।

তবে, শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সরকারবিরোধী চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অনৈক্য দূরীকরণ এবং ঐক্য সুসংহত করতে মিত্র সব দলকে নিয়ে ঢাকায় এক মঞ্চে ন্যূনতম একটি কর্মসূচি করার প্রস্তাব দিয়েছে শরিক গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুগপৎ আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, যৌথ ঘোষণার ব্যাপারে আমরা যেমন খুবই তাগিদ অনুভব করছি, তেমনি শরিকরাও করছেন। তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমানে এ বিষয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বিভিন্ন দল ও জোটের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হচ্ছে। শনিবারের বৈঠকে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি) কিছু পরামর্শ দিয়েছে, সেটাও আমরা গ্রহণ করেছি। বাকি দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে এটা চূড়ান্ত করা হবে। যৌথ ঘোষণাপত্র অবশ্যই সবার সম্মতিতে করা হবে।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, সব শরিক দলের দেওয়া সব দফাকে সমন্বয় করে তারপর কত দফা যৌথ ঘোষণাপত্র করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। সবকিছু এখনও আলোচনার মধ্যেই আছে, কোনোটাই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটা গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশে ১০ দফা তুলে ধরার মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১০ দফা দাবির মধ্যে আছে—সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালা কানুন বাতিল, খালেদা জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তি প্রভৃতি।

এর ৮ দিন পর ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভিশন-২০৩০’ এর আলোকে ২৭ দফার ওই রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান দলের নীতিনির্ধারকরা। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে কী কী করা হবে, ২৭ দফার ওই রূপরেখায় সেটা স্পষ্ট করেছে বিএনপি।

বিএনপি ঘোষিত ১০ দফার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ১২ ডিসেম্বর যুগপৎ আন্দোলনের ১৪ দফা ঘোষণা করে গণতন্ত্র মঞ্চ। সেখানে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, সংবিধানের ৭০তম অনুচ্ছেদের সংশোধন করে সরকার গঠনে আস্থা ভোট ও বাজেট পাস ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখাসহ বেশকিছু দাবি আছে। পরে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ১৩ দফা এবং গণফোরাম (মন্টু) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি যৌথভাবে ৭ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমানে ৩৮টি রাজনৈতিক দল সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩টি দলের গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য—এই চারটি জোটে বিভক্ত হয়ে আন্দোলন করছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনের জন্য অভিন্ন দফা প্রণয়ন করতে জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং গণতন্ত্র মঞ্চের জোনায়েদ সাকি ও হাসনাত কাইয়ুমকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা একাধিক বৈঠক করে অভিন্ন রূপরেখার ৭ দফা খসড়া প্রস্তাব করেন। এরপর প্রয়োজনীয় মতামত নেওয়ার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চের কাছে সেই ৭ দফার খসড়া হস্তান্তর করে বিএনপি। গণতন্ত্র মঞ্চ ওই খসড়া রূপরেখার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে যৌথ ঘোষণার সাত দফা খসড়া রূপরেখা হস্তান্তর করে।

পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে জোটের পক্ষ থেকে ৭ দফা যৌথ রূপরেখার বিষয়টি উত্থাপন করে বলা হয়, বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চ মিলে যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণাপত্রের ৭ দফা খসড়া প্রণয়ন করেছে। কিন্তু, এ বিষয়ে অন্য শরিকরা কিছুই জানে না। বিষয়টি পরিষ্কার করে জানানোর জন্য বিএনপিকে বলা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ দফা খসড়াটি গণতন্ত্র মঞ্চের প্রস্তাব। বিএনপি এখনো তা চূড়ান্ত করেনি। বিষয়টি চূড়ান্ত করার আগে সব শরিকদের মতামতও নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের যৌথ ঘোষণাপত্র প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তাছাড়া, এ বিষয়ে আমাদেরও কিছু মতামত ও ফাইন্ডিংস আছে। দ্রুতই বিএনপির সঙ্গে ১২ দলীয় জোটের বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই এই ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা এই বিষয়ে বলেন, বিএনপির ১০ দফার মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার, রাজবন্দিদের মুক্তিসহ বেশকিছু দাবি আছে। আর ২৭ দফার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাবনা। অপরদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফার মধ্যে দুটোই আছে। ওই দুটোর সমন্বয় করেই ১৪ দফা। এর মধ্যে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফার সারাংশ নিয়ে যৌথ ঘোষণাপত্রের ৭ দফা খসড়া তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে ৭ দফা হলেও বাস্তবে ১৮-২০টি দফা রয়েছে। বিভিন্ন উপ-দফা করে এটাকে ৭ দফার মধ্যে আনা হয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মনে হচ্ছে, ৭ দফা থেকে বিএনপি কিছুটা সরে এসেছে। তারা এখন তাদের ১০ দফা ও ২৭ দফাকে বহাল রেখে 'নতুন কিছু' করা যায় কি না, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ নিশ্চিত না, তারপরও সার্বিকভাবে তেমনটাই মনে হচ্ছে। তবে, আমরা আশা করছি, বিএনপির সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করে আমরা পরিষ্কার হব। বর্তমানে এটা নিয়ে কিছুটা জটিলতা যে তৈরি হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আশা করছি, দ্রুতই সেই জটিলতা কেটে যাবে।

জানা গেছে, বিএনপির প্রস্তাবিত ১০ ও ২৭ দফার ব্যাপারে গণতন্ত্র মঞ্চের তেমন সম্মতি নেই। কারণ, হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মনে করেন, ২৭ দফার মধ্যে ইমিডিয়েট আন্দোলনের দাবি নেই। তাই, এই ব্যাপারে তাদের প্রস্তাবনা হচ্ছে, ৭ দফা যে খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে, সেটাকে ভিত্তি হিসেবে ধরে প্রয়োজনে সেটা ৮, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৪ দফাও হতে পারে।

এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান হচ্ছে—নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আন্দোলনরত শরিকদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন কর। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সেই জাতীয় সরকার রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে কাজ করবে। এ কথা বিএনপি তাদের ২৭ দফা রূপরেখায় স্পষ্ট করে বলেছে। এজন্য দলটি একাধিক কমিশন গঠন করবে।

অন্যদিকে, গণতন্ত্র মঞ্চ চাচ্ছে, নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। যারা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। পাশাপাশি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কী কী বিষয় সংস্কার করতে হবে, সে বিষয়েও ঐকমত্য তৈরি করবে। অর্থাৎ নির্বাচিত হয়ে এসে নির্বাচিত সরকার যাতে এটা করতে বাধ্য থাকে, সেই অবস্থা তৈরি করা।

গণতন্ত্র মঞ্চের এক নেতা জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হবে দুটি—নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।

নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইস্যুতে প্রথমে অনড় থাকলেও বর্তমানে সেখান থেকে সরে এসেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক নেতা জানান, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে এখন আর কোনো মতপার্থক্য নেই। তবে, সংবিধানের ৭০তম অনুচ্ছেদের সংস্কার; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য; সংসদ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার মতো কিছু বিষয় নিয়ে দুপক্ষ এখনও একমত হতে পারেনি। তারপরও আলোচনা চলছে।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে দ্রুততম সময়ে যুগপৎ আন্দোলনের ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে অমীমাংসিত যেসব ইস্যু রয়েছে তাও দ্রুত সমাধান করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটিকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির পরবর্তী বৈঠকে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের বিষয়টির একটা চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে আশা করছেন দুই দলেরই নেতারা।

এ বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, যৌথ ঘোষণাপত্রের বিষয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটি কাজ করছে। আমরা ভেবেছিলাম, ঈদের পরে অর্থাৎ এপ্রিলের মধ্যেই চূড়ান্ত করতে পারর। কিন্তু, বিভিন্ন কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আর যাতে দেরি না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। আশা করছি, মে মাসের মাঝামাঝি ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ চূড়ান্ত করতে পারব।

মেয়া/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়