নগ্ন নাচ আর জুয়া নিয়ে আছেন পুলিশ ইনচার্জ
ফরহাদ খান || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
ফরহাদ খান, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামে মধুমতী নদীর পারে বসানো হয়েছে অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসর। আর তা নিয়ে ভালোই সময় কাটাচ্ছেন সেখানের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুদৌলা।
এর আগে লাহুড়িয়া ইউনিয়নের এগারোনলীতে কমরের ইটের ভাটার সামনে এবং শালনগর ইউনিয়নের চরশালনগর গ্রামে জুয়ার আসর শেষ হয়েছে। এবার শুক্রবার থেকে মাকড়াইল গ্রামে শুরু হয়েছে অশ্লীল নাচ ও জুয়ার আসর। এ নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে এলাকার সাধারণ ও ধর্মপ্রাণ লোকজন।
লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা নিজেও এসবে জড়িয়ে সাধারণ মানুষের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। আর এতে অঘটনের আশঙ্কায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
লাহুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুস সালাম শিকদার অভিযোগ করেন, ‘শালনগর ও লাহুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিকভাবে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর বসানো হয়েছে, নতুন করেও বসানো হচ্ছে। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ওসি এবং লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে একাধিকবার বলা হলেও জুয়া ও অশ্লীল নাচ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।’
মাকড়াইল গ্রামের মজিবর খান ও এবাদত খানসহ অনেকে জানান, মাইকে গানবাজনার সঙ্গে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়া খেলা। এলাকার লোকজন রাতে ঘুমাতে পারছেন না। লেখাপড়া করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। বিপাকে পড়েছে জেএসসি, পিএসসি ও বার্ষিক পরীক্ষার্থীরা।
এ নিয়ে এলাকাবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের তত্ত্বাবধানেই এসব অশ্লীল কাজ চলছে। এলাকার চিহ্নিত পেশাদার জুয়াড়ি লোহাগড়ার চরকালিশংকরপুর গ্রামের গোলাম কবিরের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন জুয়াড়ি জুয়া খেলছে।’
তবে অভিযুক্ত জুয়াড়ি গোলাম কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি রাতে লোহাগড়া থানার ওসি এবং লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এ জন্য নিয়মিত মাসোহারা পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষও এ সম্পর্কে অবগত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতি রাতে মাত্র ২০ হাজার টাকা ও নগ্ন নাচ দেখার জন্য এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।’
এ ব্যাপারে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাইফুদৌলার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনি যা পারেন তা লেখেন। তিনি দাবি করেন, ‘এমন কিছু এলাকায় হচ্ছে না।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
রাইজিংবিডি/নড়াইল/২৬ অক্টোবর ২০১৪/টিপু
রাইজিংবিডি.কম