ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনা: কাতার বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব ফেলবে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২২ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনা: কাতার বিশ্বকাপে কতটা প্রভাব ফেলবে

করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াঙ্গণে বাজেভাবে প্রভাব ফেলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন ক্রীড়া ইভেন্ট স্থগিত অথবা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। টোকিও অলিম্পিকের আসর এক বছর পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০২১ সালে।

ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি নারী ও অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব বাতিল করা হয়েছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপও আছে শঙ্কার মুখে।

সে হিসেবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। বিশেষ করে করোনার কারণে প্রভাব পড়ার কথা না। কারণ এখনো সময়ের হিসেবে ২৯ মাস বাকী বিশ্বকাপের। ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে বসবে ফুটবল বিশ্বকাপের সে আসর।

তবে করোনাভাইরাসের মহামারি দু’বছর পরের ফুটবল বিশ্বকাপেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজক কমিটির মহাসচিব হাসান আল তাওয়াদি। করোনার কারণে পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।
বিশ্ব অর্থনীতি নাজুক অবস্থায় পড়বে তখন। আর অর্থনৈতিক মন্দার ওই সময় বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শকরা টাকা খরচ করে খেলা দেখতে আসবে এমন ভাবনা অমূলক বলে মনে করেন আয়োজক কমিটির মহাসচিব তাওয়াদি। ফলে দর্শক সংখ্যা কম হবে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর ভাষ্যে, ‘পুরো ব্যাপারটা আসলে এখনো পরিষ্কার নয়- আমরা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবল দর্শকরা বিপুল অর্থকড়ি খরচ করে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে আসবেন- সেই সম্ভাবনা নিয়ে বড় সংশয় তো থাকছেই।’

তাছাড়া কাতারের এক শহর থেকে অন্য শহরে বিমানে করে যাওয়া আসার খরচও ভোগাবে দর্শকদের। তবে সমর্থকরা যাতে স্বল্প খরচে কাতার এসে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে পারে এ জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তাওয়াদি, ‘আমরা আপাতত সমর্থকদের কাছে সাশ্রয়ী হওয়া আর এই নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন, এই দুই বিষয়ের মেলবন্ধন করার কাজ করে চলছি।’

এছাড়াও বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলোয়াড় ও দর্শকদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করা হবে বলেও জানান তাওয়াদি। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে বলা মুশকিল কবে সব কিছু স্বাভাবিক হবে। তাই সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেটা যতদিন এই ভাইরাস নির্মুল না হয় ততদিন পর্যন্ত। এবং কাতার বিশ্বকাপেও এটা আমরা কঠোরভাবে মেনে চলবো।’

এদিকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ মোট ৮টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার মধ্যে ৬টি স্টেডিয়ামের কাজ এখনো অসম্পূর্ণ। তবে হাতে সময় থাকায় এই নিয়ে ভাবছেন না তারা। এমনটি জানিয়েছেন তাওয়াদি। তবে মাঠ ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে করোনাভাইরাসের বাধা আসায় সব কিছুর খরচ বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুন।
এ নিয়ে তিনি বলেন,‘এখানে যে কাজগুলো হচ্ছে, তার খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুন। তাছাড়া লকডাউনের কারণে অনেক কিছুই সময় মত করা যাচ্ছে না। তাই খরচ নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে।’

এতকিছুর পরেও আয়োজক কমিটির এই মহাসচিবের বিশ্বাস করোনাভাইরাস জয় করে বিশ্বকাপের আনন্দে মাতবে সবাই, ‘তবে আমরা আশা করছি ২০২২ সালের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে জয়ী হবো। ২০২২ সালের বিশ্বকাপে আমরা সবাই মিলে সেই খুশির আনন্দ, সেই জয়ের আনন্দ উপভোগ করব।’

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ত্ব পায় কাতার। সূচি মোতাবেক ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ শুরু হয়ে চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কাতারের ৫ শহরের ৮টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ম্যাচগুলো।



ঢাকা/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়