ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চট্টগ্রামের দাপট চলছেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ১২ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৫২, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
চট্টগ্রামের দাপট চলছেই

‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ এ গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের জয়রথ ছুটছেই। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা হারিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীকে।পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সাগরিকার পাড়ের দলটি দাপুটে খেলা খেলছে।

শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলায় রাজশাহী নিজেদের শেষ ম্যাচ হেরেছে ৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাটিং করে চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী ১৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি।

এ পরাজয়ে শেষ চারে যাওয়ার লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে গেছে রাজশাহী। তাদের ভাগ্য টিকে আছে বরিশালের ওপর। বরিশাল শেষ ম্যাচ খেলবে ঢাকার বিপক্ষে। বরিশাল জিতলে রাজশাহী বাদ হয়ে যাবে। বরিশাল হেরে গেলে রাজশাহীর সম্ভাবনা থাকবে। সে সময়ে রান রেটের হিসেবে যে এগিয়ে থাকবে তারা যাবে শেষ চারে।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন কুমার দাশ ও সৌম্য সরকার জ্বলে উঠলেন আরো একবার। তাদের সঙ্গে শামসুর রহমান শুভও দেখালেন কারিশমা। ত্রয়ীর মিলিত ঝড়ে চট্টগ্রাম পায় বিশাল পুঁজি। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন ও সৌম্য ১২২ রানের জুটি গড়েন। তার জুটির ইনিংসে ছিল চার-ছক্কার ফোয়ারা।

পাওয়ার প্লে দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে ৪৮ রান তুলে নেন। ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়ান পরবর্তীতেও। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে রান ৮৫। দলীয় শতরান পেরিয়ে যাওয়ার পথে দুই ব্যাটসম্যান তুলে নেন ফিফটি। শেষ ম্যাচে টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন সৌম্য। এ ম্যাচেও ধরে রাখেন ধারাবাহিকতা।

এক ম্যাচ পর দলে ফেরা লিটনও মাইলফলক স্পর্শ করেন। ১৫তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন আনিসুল ইসলাম ইমন। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলারকে তুলে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ৬৩ রানে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৪৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।

পরের ওভারে রেজাউর রহমানের স্লোয়ার বল স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটে টেনে আনেন লিটন। ৪৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় লিটন সাজান ইনিংসটি। ১২২ থেকে ১৩২ রানে যেতে ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পর মিথুন (২) ও মোসাদ্দেক (৩) ।

শেষে দলের হয়ে অবদান রাখেন শুভ। ১৮ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রান করেন শুভ। তাকে সঙ্গ দিয়ে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন জিয়াউর রহমান। শেষ দিকে রাজশাহীর বোলাররা ছিলেন বেহিসেবী। পেসার রেজাউর রহমান নিজের শেষ ওভারে দুই নো বল (হাই নো) করে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হন। ৩.৩ ওভারে ৩৮ রানে ১ উইকেট নেন। সাইফ উদ্দিন ৩২ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় ৩৩ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান হারায় রাজশাহী। ইমন দ্বিতীয় ওভারে নাহিদুলকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন। অধিনায়ক শান্ত একই বোলারকে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ১১ রানে। রনি তালুকদারের উইকেটও নেন নাহিদুল। লং অফে ক্যাচ দেন রনি ফেরেন ১৬ রানে।

চতুর্থ উইকেটে সোহান ও ফজলে মাহমুদ জুটি বাঁধলেও দ্রুত রান আসছিল না। ফলে চাপ বাড়তে থাকে ক্রমাগত। সেই চাপ সামলে নিতে গিয়ে আগ্রাসন দেখান ফজলে মাহমুদ। কিন্তু উইকেট বিলিয়ে আসেন।

রাকিবুলের বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তার বলে এলবিডব্লিউ হন ১৯ রানে। মাঠে নেমে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান। কিন্তু সীমানায় তার দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে নাহিদুল রাজশাহীর জয়ের আশা শেষ করে দেন। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

বল হাতে নাহিদুল ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। ২টি উইকেট নেন জিয়াউর রহমান। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শরীফুল, রাকিবুল ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ঢাকা/ইয়াসিন/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়