ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বায়ার্ন মিউনিখের ‘সিক্স প্যাক’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
বায়ার্ন মিউনিখের ‘সিক্স প্যাক’

নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে অভাবনীয় সাফল্য পেলো বায়ার্ন মিউনিখ। বৃহস্পতিবার কাতারের আল আয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে লিগা এমএক্স দল টাইগ্রেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলো তারা। গত ১২ মাসে বুন্দেসলিগা ক্লাবটির এটি ষষ্ঠ ট্রফি।

বক্সের বাইরে থেকে জশুয়া কিমিখের শক্তিশালী শটে ১৮তম মিনিটে বায়ার্নকে গোল উদযাপন করতে দেখা যায়। কিন্তু ভিএআরে তা বাতিল হয়। কারণ অফসাইড পজিশনে থেকে টাইগ্রেস গোলকিপার নাহুয়েল গুজমানকে বাধা দিয়েছিলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি।

প্রথমার্ধের পুরোটা সময় গুজমান ছিলেন চাপে। বেঞ্জামিন পাভার্দ ও আলফোনসো দাভিসের শট ঠেকাতে হয়েছে তাকে। লেরয় শানের শট পোস্টে লাগলে প্রথমার্ধ গোলবার অক্ষত রাখেন তিনি।

বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ফাইনালে পায়নি বাভারিয়ানরা। থমাস মুলার, লিয়ন গোরেৎকা ও জাভি মার্তিনেজ করোনায় আক্রান্ত। ব্যক্তিগত কারণে জার্মানি ফিরে যান জেরোমে বোয়েটাং। তাদের ছাড়াই টাইগ্রেসকে ধরাশায়ী করে বায়ার্ন।

ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা ফাইনালে ওঠা প্রথম উত্তর আমেরিকান ক্লাবের ওপর চাপ তৈরি করে পুরোটা সময়। যদিও গোলের দেখা পেতে তাদের সময় লেগেছিল এক ঘণ্টা পর্যন্ত। ৫৯ মিনিটে জাল খুঁজে পায় বায়ার্ন। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট গুজমান ফিরিয়ে দিলেও তা পাভার্দের সামনে পড়ে এবং তিনি খালি জালে বল জড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন।

ব্যবধান আর বাড়তে না দিয়ে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ীরা ঘুরে দাঁড়ানোর সব চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। এই জয়ে এক বর্ষপঞ্জিকায় বায়ার্ন ও হ্যান্সি ফ্লিক তাদের ষষ্ঠ শিরোপা অর্জন করে। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার ক্লাব বিশ্বকাপ জিতলো তারা।

২০০৯ সালে ছয়টি বড় ট্রফির সবগুলো জেতা বার্সেলোনার কীর্তিতে ভাগ বসালো বায়ার্ন। ক্লাব বিশ্বকাপের আগে গত এক বছরে বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ, জার্মান সুপার কাপ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপের ট্রফি হাতে নিয়েছে তারা।

ম্যাচ শেষে লেভানদোভস্কি বলেছেন, ‘আমাদের এখন সিক্স প্যাক। এটা একটা বিশেষ গল্প, এই শিরোপা জিততে আমরা মরিয়া ছিলাম। দেশে ফিরে আমরা এখন এটা উপভোগ করতে পারবো।’ বায়ার্নে দুর্দান্ত সময় কাটছে ফ্লিকের। বাভারিয়ানদের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের হারের চেয়ে বেশি ট্রফি জিতলেন তিনি। ৬৮ ম্যাচে তার জয়-পরাজয়ের হিসাব ৫৮-৫, ড্র করেছে পাঁচটি।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়