ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১৪ বছরের অপেক্ষা ফুরাবে আজ?

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৭ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১০:৪৩, ২৭ অক্টোবর ২০২১
১৪ বছরের অপেক্ষা ফুরাবে আজ?

মোহাম্মদ আশরাফুল, আফতাব আহমেদের চোখে আজও সেই জয়ের আনন্দ অন্যরকম। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে হারলেও রান তুলেছিল ২০৫। তাদের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ।  

গেইল, সারওয়ান, চন্দ্ররপল, ব্রাভোরা জ্বলে উঠলে খবরই আছে। তাদের আটকানো গেল না। সাকিবের ৪ উইকেটের পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৬৪। কিন্তু ব্যাটিংয়ে ছিলেন ধ্রুবতারা আশরাফুল, ভয়ংকর আফতাব। যাদের ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই উড়ায় বিজয়ের পতাকা। 

আশরাফুলের দ্রুততম ফিফটিতে রান ২৭ বলে ৬১। আফতাবের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ বলে ৬২ রান। ১৪ বছর আগের সেই স্মৃতি আজও তরতাজা আশরাফুলের স্মৃতিতে,‘ম্যাচটা অন্যরকম ছিল। এতো সুন্দর ব্যাটিং করেছি। যা চেয়েছি তা হচ্ছিল। ওদের শক্তির জায়গায় অ্যাটাক করে আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম।’ 

আফতাবও খুলে দিলেন কথার ঝাঁপি,‘ম্যাচটা সত্যিই আমরা দারুণ খেলেছিলাম। আশরাফুল আমাদের হয়ে সেটআপ করে দিয়েছিল। আমাদের বাকিদের কাজ ছিল শুধু বল টু বল খেলা। আমরা সেটাই করেছি। বিশ্বকাপের মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওই দলকে হারাবো তা হয়তো তখন কেউ কল্পনা করেনি। কিন্তু আমরা করেছিলাম। ওই জয়টা আমাদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছি।’ 

ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে বাংলাদেশ দারুণ শুরু করলেও পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে উঠেনি। শুধু সেবারই নয়, এরপর বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে মূল পর্বে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। 

বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে সপ্তম আসর, সবকটিতে ছিলেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। এবার বিশ্বকাপের আগে তারা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেমিফাইনালে খেলার। সেই পথের যাত্রায় শুরুতেই হোঁচট। স্কটল্যান্ডের কাছে প্রথম পর্বের লড়াইয়ে লজ্জার হার। এরপর ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে স্বরূপে ফিরলেও মূল পর্বের লড়াইয়ে আবার একই চিত্র। 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে হার। যে হারের কারণ ব্যাখ্যাতীত। সামনে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চার প্রতিপক্ষ। আজ মাহমুদউল্লাহদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। বৈশ্বিক মঞ্চে তাদের হারানো মানে বিশাল অর্জন। কিন্তু বিশ্বকাপের মূল পর্বে ১৪ বছর যে দলটা পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে তাদের জন্য কাজটা বিশাল বড়। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্স সম্পর্কে অবগত বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। তার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, এ দলগুলোর বিপক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব? এমন প্রশ্ন গিবসনের কাছে অদ্ভুত লেগেছে। 

মাঠে নেমে জয়ের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন তিনি,‘ জেতা সম্ভব কিনা এই প্রশ্নটাই বলব অদ্ভুত। আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। নিজেদের ভেতরে এই বিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপে এসেছি। বাছাইপর্বে কঠিন সময় গিয়েছে, সেখানে স্নায়ুচাপও ছিল। মূল পর্বে আমরা দলের সংখ্যা বাড়াতে আসিনি। নিজেদের দিনে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।’ 

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলের এমন আত্মবিশ্বাস সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে ২২ গজে কাজটা বরাবরই কঠিন। ১৪ বছরের অপেক্ষা আজ ফুরাবে নাকি অপেক্ষা আরো লম্বা হবে?

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়