ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই বছর পর উন্নতি হবে, বিশ্বাস হাবিবুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২৫ নভেম্বর ২০২১  
দুই বছর পর উন্নতি হবে, বিশ্বাস হাবিবুলের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পরও নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছে বাংলাদেশ। এমন স্লো-উইকেটে খেলে বিশ্বমঞ্চে কেমন করবে বাংলাদেশ; এর সদুত্তর দিতে পারেননি ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট কর্তা কেউই। বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন ভালো উইকেটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছিলেন। তার মতে এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে সেটা মাথায় রেখে কাজ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পর্দা নেমেছে একদিন হলো। এর মধ্যেই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) নবম আসরের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারটি দল তাদের চাহিদামতো দল গঠন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ড্রাফটে উপস্থিত ছিলেন হাবিবুল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ধাপে ধাপে সবকিছু পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেন। আর উন্নতির ফল দেখা মিলবে দুই বছর পর এমন বিশ্বাসের কথা জানান বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়কের।

ড্রাফট শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হাবিবুল বলেন, ‘বিসিএলে আমরা ৮ দল ভেঙে চার দল করি। এখানে এলিট প্লেয়ার খেলে। এই টুর্নামেন্টে আমাদের ফোকাস বেশি থাকে। আমাদের উন্নতির শেষ নেই, আরো ভালো করতে চাই। এখন ড্র কম হয়, সব ম্যাচেই ফল হয়। আমরা যেভাবে যাচ্ছি এটার প্রভাব দুই বছর পরে দেখতে পাবেন।‘

চার দল নিয়ে বিসিএল শুরু হবে ১০ ডিসেম্বর। প্রথমে চার দিনের ম্যাচ, এরপর অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ম্যাচ। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে টুর্নামেন্টটি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে অংশ নিতে পারেবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও।

বিসিএলের স্পোর্টিং উইকেট প্রসঙ্গে হাবিবুল জানালেন, তারা চান চ্যালেঞ্জিং উইকেট। যেখানে ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারবেন, বোলাররা উইকেট নিতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন অনেক আগে যখন খেলতাম, ফার্স্ট ক্লাস খেলা হতো লো বাউন্স উইকেটে। শেষ ৩-৪ বছরে উইকেট বদলেছে। আমি বলব না দ্রুত বদলে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছরে আমাদের চাহিদা থাকে, স্পোর্টিং উইকেটে খেলার। সব টিম যেন ৩ জন ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলতে পারে। স্পিনারেরও দরকার আছে। স্পিন খেলাটাও একটা শিল্প। আমাদের চাহিদা থাকে অন্তত দুইটা উইকেট যেন থাকে। ভিন্ন উইকেটের চাহিদা থাকে। আমরা চাই চ্যালেঞ্জিং উইকেট।‘

বিসিএলের চারদিনের ম্যাচে কড়া নজর থাকবে জাতীয় নির্বাচকদের। টেস্ট খেলতে নামার আগে এখানে যাতে ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারেন, বোলারা ম্যাচ জেতানোর দক্ষতা তৈরি করতে পারেন, এসব কিছুতে চোখ থাকবে তাদের। হাবিবুল বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের টেস্ট টিমের দিকে তাকান, বুঝবেন অবশ্যই এখনো ম্যাচ জেতানো বোলার দরকার। যারা ম্যাচ জেতাতে পারে, দশ উইকেট নিতে পারে নিয়মিতভাবে। বিসিএলে বা ফার্স্ট ক্লাসে সেদিকে নজর থাকে। আরেকটা দিকে নজর থাকে ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময়ে ব্যাটিং করতে পারছে কি না। আমরা চাই চ্যালেঞ্জিং উইকেটে ব্যাটসম্যানরা লম্বা সময় ব্যাটিং করুক। এই দুই দিকে ফোকাস থাকে বেশি।‘ 

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়