ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কেঁদে, কাঁদিয়ে ফেড এক্সপ্রেসের বিদায়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৯:২০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
কেঁদে, কাঁদিয়ে ফেড এক্সপ্রেসের বিদায়

কাঁদছেন বিদায়ী ফেদেরার, কাঁদছেন নাদাল

এক-দুটি বছর নয়, ২৪টি বছর তিনি টেনিস কোর্ট দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন। লম্বা ক্যারিয়ারে জিতেছেন ২০টি গ্র্যান্ডস্লাম। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা রজার ফেরেদার। যাকে ফেড এক্সপ্রেসও বলা হতো।

রাজার বিদায়ের মঞ্চ আগেই প্রস্তুত ছিল। ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর এদিন (শুক্রবার) লেভার কাপে শেষবারের মতো কোর্টে নামেন তিনি। রাফায়েল নাদালকে সঙ্গে নিয়ে যদিও টিম ওয়ার্ল্ডের ফ্রান্সেস টিয়াফো ও জ্যাক সকের কাছে হেরে যান ৪-৬, ৭-৬ (৭/২), ১১-৯ ব্যবধানে।

ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সঞ্চালকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বার বার ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন কিংবদন্তি এই সুইস তারকা। চোখ-মুখ মুছে কান্না থামিয়ে আবার বক্তব্য দিচ্ছিলেন, আবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন।

ফেদেরার তার বিদায়ী ভাষণে বলেন, ‘আমরা এই কষ্টের, দুঃখের সময়টা কাটিয়ে উঠব। আজকের দিনটা দারুণ। সবাইকে বলেছি, আমি খুশি। আমার খারাপ লাগছে না। শেষবারের মতো নিজের জুতার ফিতা বাঁধা উপভোগ করেছি। সবকিছুই ভালো ছিল শেষবারের মতো।’

কান্না থামিয়ে বলছিলেন, ‘এই কান্না আনন্দের। আমি আনন্দে কাঁদছি। সবাইকে ধন্যবাদ। আসলে আমার ধন্যবাদ জানানোর অনেক মানুষ রয়েছে, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’

কোনোরকমে বক্তব্য শেষ করে কাঁদতে কাঁদতে বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরলেন। স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলেন। সন্তান ও স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন অবুঝ শিশুর মতো অঝোরে।

তার কন্না দেখে উপস্থিত ১৭ হাজার ৫০০ দর্শকের অনেকেই চোখ ভিজে গিয়েছিল। বিশেষ করে ক্যারিয়ারে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফয়েল নাদাল। তিনিও অঝোরে কাঁদছিলেন ফেদেরারের কান্না দেখে। যার সঙ্গে ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে ৪০ বার মুখোমুখি হয়েছেন। যার মধ্যে ২৪ বার জিতেছেন নাদাল, ১৬ বার ফেদেরার।

এরপর টেনিসের কিংবদন্তিরা এগিয়ে এলেন ৪১ বছর বয়সী ফেদেরারকে বিদায়ী অভ্যর্থনা জানাতে। অ্যান্ডি মারে, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জকোভিচসহ সাবেক ও বর্তমান টেনিস তারকারা ছিলেন সেখানে।

এরপর সেখান থেকে উঠে বেঞ্চে গিয়ে বসেন। সেখানে গিয়েও বার বার ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন। কান্না ভেজা চোখে হাত চেপে ধরে তাকে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন নাদাল।

বিদায় নেওয়ার আগে পুরো কোর্ট ঘুরছিলেন আর হাত নেড়ে উপস্থিত সকলের অভিবাদন গ্রহণ করছিলেন। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন।

অবশেষে কেঁদে, কাঁদিয়ে থেমে গেল এক নক্ষত্রের যাত্রা। শেষ হলো এক কিংবদন্তির পথচলা। টেনিস কোর্টে আর দেখা যাবে না এক রাজাকে। যার মতো তারকার জন্ম হয় শতবছরে একবার।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়