ঢাকা     শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ হলো চ্যাম্পিয়নদের, স্বপ্নভঙ্গ বাবরদের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১১ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২২:৪৭, ১১ নভেম্বর ২০২৩
সাতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ হলো চ্যাম্পিয়নদের, স্বপ্নভঙ্গ বাবরদের

পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা যতটুক ছিল তা মিইয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ডের বড় জয়ে। তাইতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাবর আজমদের শেষ ম্যাচটি হারিয়েছে রঙ। রঙ হারানো ম্যাচেও পাকিস্তান নাস্তানাবুদ হয়েছে ইংলিশদের কাছে।

এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্বকাপের অন্যতম দুই ফেভারিটের যাত্রা। আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের যাত্রা শেষ হলো সাতে থেকে। অন্যদিকে পাকিস্তান সেমিফাইনালের রেসে থাকলেও বাবরদের পারফরম্যান্স ছিল বাজে।

আরো পড়ুন:

ইডেন গার্ডেনসে শনিবার (১১ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রান করে ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ২৪৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ৯৩ রানের বড় হার নিয়ে বিশ্বকাপের ইতি টানে দলটি।

রান তাড়ায় প্রথম বলেই আব্দুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। আরেক ওপেনার ফখর জামান ১ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ওপেনার হারানোর ধাক্কা সামলে উঠতেই অধিনায়ক বাবরের উইকেট হারায় তারা। বাবর ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।

সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে আঘা সালমানের ব্যাট থেকে। ৪৫ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ের মারে এই রান করেন তিনি। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৬, হারিস রউফ ৩৫ ও সাউদ শাকিল ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডেভিড উইলি। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ, গাস অ্যাটকিনসন ও মঈন আলী।

এর আগে তিন ফিফটিতে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে স্টোকসের ব্যাট থেকে। ৭৬ বলে ১১ চার ও ২টি ছয়ে এই রান করেন স্টোকস। কিছুটা ধীরগতিতে খেলেছেন রুট। ৭১ বলে ৬০ রান করেন তিনি। ৬১ বলে ৫৯ রান আসে বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে।

এ ছাড়া ডেভিড মালান ৩১, হ্যারি ব্রুক ৩০ ও জস বাটলার করেন ২৭ রান। শেষ দিকে ডেভিড উইলি মাত্র ৫ বলে ১৫ রান করেন। তিন ফিফটি ছাড়াও ছোট-ছোট ইনিংসগুলো ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড বড় অবদান রেখেছে।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ। ২টি করে উইকেট জমা হয় শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের ঝুলিতে।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়