ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

১৫৫ রান করলেই বিপিএলের ট্রফি বরিশালের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ২০:৫৭, ১ মার্চ ২০২৪
১৫৫ রান করলেই বিপিএলের ট্রফি বরিশালের

১৯তম ওভারে জেমস ফুলারকে তিন ছক্কায় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু সাইফউদ্দিনের করা শেষ ওভারে তিন ওয়াইড ও একটি নো-হওয়ার পরও ৭ রানের বেশি নিতে পারেননি রাসেল। বাউন্ডারির আশায় সিঙ্গেলসও নেননি, কিন্তু বাউন্ডারি আসেনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাসেলের ক্যামিওতে বরিশালকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দিতে পারে ফরচুন বরিশাল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের মহারণে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। ৬ উইকেট হারিয়ে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা ১৫৪ রান করে থামে। রাসেল ১৪ বলে ২৭ ও জাকের ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। দুজনের জুটিতে আসে ২১ বলে ৩৯ রান।

আরো পড়ুন:

এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সুনীল নারাইনের চারে রানের খাতা খোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই উইন্ডিজ, আরেক উইন্ডিজ ম্যাককয় সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। একই ওভারেই দারুণ ক্যাচে সেই ম্যাককয়ই নারিনকে ফেরান সাজঘরে।

হৃদয় বিদায় নিলেও এক প্রান্তে লিটন সাবলীল খেলার আভাস দেন। দারুণ শটে হাঁকিয়েছেন চারও। অন্যপ্রান্তে নতুন সঙ্গী চার্লস শুরু করছিলেন ধীরে ধীরে। তখনি বিপদ বাড়ে। সেই ফুলারের বলে কাট করতে গিয়ে লিটন ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহর হাতেই। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৬ রান। 

লিটন বিদায় নিলে ক্রিজে চার্লসের সঙ্গী হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনে এগোচ্ছিলেন ভালোভাবেই। চার্লসের ব্যাটেও দেখা গেছে ছয়। কিন্তু ১৬ বলে ১৫ রাঙা করার পর থামতে হয় তাকে। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন তামিমের হাতে। 

ব্যাটিং গভীরতা থাকায় কুমিল্লার দুশ্চিন্তা ছিল না খুব একটা। তামিমদের দারুণ ফিল্ডিংয়ে সেই দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। অঙ্কনের সঙ্গে জুটি গড়ে এগোচ্ছিলেন মঈন আলী। ১৬ বলে ১৪ রানের জুটির পর মিরাজের দুর্দান্ত থ্রোতে সাজঘরে ফেরেন মঈন। এবার অঙ্কনের সঙ্গী হন জাকের আলী অনিক। দুজনে এগোতে থাকেন, তবে রানের চাকা সচল ছিল না। জুটি থেকে আসে ২৯ বলে ৩৬ রান। 

সাইফউদ্দিনের ফুল টস বলে উইকেটরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে জাকের আলীর সঙ্গী হন আন্দ্রে রাসেল। দুজনে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ইনিংস শেষ করে আসেন।

ফুলার ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন কাইল মায়ার্স-সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়। তাইজুল ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দেন, মেহেদী হাসান মিরাজ কোনো ওভার করেননি।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়