থেমে গেল মেসির মিছিল, আটকে গেল মায়ামির জয়রথ
পাঁচ ম্যাচের টানা জয় আর আক্রমণভাগের আগুনে ফর্ম, সব মিলিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছন্দপতন ঘটল সিনসিনাটির মাঠে এসে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়ল মেসি ও তার দল।
মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে এটি ছিল তাদের চতুর্থ ম্যাচ। শরীর আর মন যেন দুটোই ক্লান্ত। সেই ক্লান্তিকে পুঁজি করে দুর্দান্ত খেলল এফসি সিনসিনাটি। সুশৃঙ্খল রক্ষণ আর ধারালো আক্রমণে তারা চেপে ধরল মিয়ামিকে শুরু থেকেই। ১৮ মে’র পর এই প্রথম এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমে হার দেখতে হলো মিয়ামিকে।
ম্যাচের ১৬ মিনিটেই স্কোরবোর্ডে নাম তোলে স্বাগতিকরা। বাম দিক থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন জেরার্ডো ভ্যালেনজুয়েলা, যা ছিল তার এই মৌসুমের চতুর্থ গোল। প্রথমার্ধেই সিনসিনাটি নেয় ৭টি শট, যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই যেন ঝড় তোলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ইভান্দার। ৫০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এরপর ৭০ মিনিটে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। এই নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করলেন তিনি। যা নতুন এক রেকর্ড এমএলএস ইতিহাসে। তার মোট গোলসংখ্যা এখন ১৫।
মাঠে ছিলেন লিওনেল মেসি, কিন্তু বল পেলেও তার পায়ে আজ ছিল না সেই জাদু। একবার লুকাস এঙ্গেল বল ঠেকিয়ে দেন, আরেকবার দারুণ সেভ করে গোল বাঁচান রোমান সেলেন্তানো। এই ম্যাচে দুটি সেভ করে সেলেন্তানো তুলে নেন চলতি মৌসুমে নিজের সপ্তম ক্লিন শিট।
মিয়ামির দুই গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি ও রকো রিয়োস নোভো মিলেও করেছেন চারটি সেভ। কিন্তু প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে পারেননি। মেসিদের আক্রমণও বারবার থেমে গেছে সিনসিনাটির কৌশলী ও সংগঠিত রক্ষণের সামনে। ফলে শেষ বাঁশি বাজার আগেই নিশ্চিত হয়ে যায় মায়ামির পরাজয়।
ঢাকা/আমিনুল