ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ওভালে ঐতিহাসিক জয়, ম্যাচ জেতানো আত্মবিশ্বাসের গল্প শোনালেন সিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ৪ আগস্ট ২০২৫  
ওভালে ঐতিহাসিক জয়, ম্যাচ জেতানো আত্মবিশ্বাসের গল্প শোনালেন সিরাজ

ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের শেষ টেস্টে মাত্র ৬ রানে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হলেও শেষ টেস্টের উত্তেজনা ও নাটকীয়তা ভোলার নয়। এই জয়কে ঐতিহাসিক করে তুলেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। যার ঝলমলে বোলিং পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডের শেষ স্বপ্নটুকু মাটিতে মিশে যায়।

শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৫ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। সেই কঠিন সময়েই হায়দরাবাদের এই পেসার একাই তুলে নেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট— জেমি স্মিথ, জেমি ওভারটন ও গাস অ্যাটকিনসনকে। এই তিন শিকারই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। আর সিরাজের হাত ধরে আসে ভারতের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে পাওয়া জয়।

আরো পড়ুন:

ম্যাচ শেষে সিরাজ বলেন, “আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম যে, যেকোনো পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতানো সম্ভব। নিজের বোলিংয়ের উপর আস্থা ছিল, আর লক্ষ্য ছিল শুধু একটি; ভারতের জন্য ম্যাচ জেতানো।”

এই টেস্টে সিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫টি উইকেট। পুরো সিরিজে তার শিকার ২৩ উইকেট। গড় ৩২.৪৩। এমন ধারাবাহিকতায় সিরাজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য পেসার হিসেবে।

রবিবারের খেলা চলাকালে যখন ইংল্যান্ড ১৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খেলছিল, তখন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে হ্যারি ব্রুকের একটি ক্যাচ ফেলেছিলেন সিরাজ। যেটি ছক্কায় পরিণত হয়। এরপর ব্রুক ও রুট মিলে যোগ করেন আরও ১৬৪ রান। সিরাজ বলেন, “সেই ক্যাচ মিস করার পর মনে হয়েছিল ম্যাচটা হয়তো হাতছাড়া হয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়িনি।”

রবিবার খেলা শেষ হয় আলো স্বল্পতায়। সোমবার সকালেও আকাশ ছিল মেঘলা। কিন্তু সিরাজ যেন নিজেই ছিলেন আলো হয়ে। দিনের দ্বিতীয় ওভারে জেমি স্মিথকে ফেরান, পরের ওভারে ফেরান ওভারটনকে। এরপর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা তুলে নেন জশ টাঙ-এর উইকেট। তখন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন মাত্র ১৬ রান, উইকেটে গাস অ্যাটকিনসন আর চোটে কাহিল ক্রিস ওকস। সেই সময় সিরাজ নিজের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই অ্যাটকিনসনকে ফিরিয়ে ম্যাচে ভারতের সোনালি জয় সিল করে দেন।

সিরাজ জানান, “ভোরে ঘুম থেকে উঠে গুগলে ‘বিলিভ’ শব্দটা লিখে একটা ছবি খুঁজে সেটি ফোনের ওয়ালপেপার করেছিলাম। সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল বিশ্বাস থাকলে জয় সম্ভব।”

ঢাকা/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়