বিসিবির সম্পদ ও পাওনা বেড়েছে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্পদ ও পাওনা বেড়েছে। গতকাল বোর্ডের সবশেষ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পদের হিসেবও দেয়। বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব ছাড়তে যাচ্ছে ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে। এছাড়াও আরও প্রায় ৪০ কোটি টাকা পাওনা আছে বিভিন্ন পক্ষের কাছে।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান বলেছেন, “১৩৯৮ কোটি টাকা আমরা রেখে যাচ্ছি… এফডিআর, ইন হ্যানড ক্যাশ, ক্যাশ ইন ব্যাংক, সবকিছুসহ এই প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা রেখে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের অনাদায়ী অর্থ আছে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ কোটি।”
বিসিবির পাওনা বেশিরভাগ অর্থ বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের থেকে। প্রায় ১৮ দল থেকে ২৫ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। ইফতেখার রহমান বলেছেন, 'বিপিএলের আপনারা জানেন, আমরা একটা বিপিএলের খেলাপকারীর তালিকা আমরা দিতে চেয়েছিলাম। যাদের সাথে আমাদের সালিশ শুরু হয়ে গেছে, চলছে।'’
বরিশাল বার্নার্স, চিটাগং কিংস, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, খুলনা রয়্যাল বেঙ্গল, দুরন্ত রাজশাহী, সিলেট রয়্যালস, সিলেট সুপারস্টার, বরিশাল বুলস, সিলেট সিক্সার্স, রাজশাহী কিংস, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার্স, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট সানরাইজার্স, ঢাকা ডমিনেটর্স, দুরন্ত ঢাকা, দুর্বার রাজশাহী এবং ডেল্টা স্পোর্টসের (চিটাগং) থেকে টাকা পাবে বিসিবি।
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আগামী বিপিএল হওয়ার কথা থাকলেও বিসিবি নির্বাচনের ব্যস্ততায় এই টুর্নামেন্টের অনেক প্রক্রিয়াই থমকে আছে। ইফতেখার অবশ্য বললেন, তারা এখনও ওই সময়টাতেই চোখ রাখছেন। তবে দায়িত্বটি পরবর্তী বোর্ডের, “আমরা টার্গেট করছি, ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বিপিএল হবে। এখানে অনেক কাজ আছে, সেটা পরের বোর্ডের ওপর বর্তাবে। কারণ এটা ছিল আমাদের শেষ বোর্ড সভা। তবে সবকিছু প্রস্তুত করা শুরু হয়ে গেছে। পরের বোর্ড এসে সিদ্ধান্ত নেবে। টার্গেটিং টাইম আমরা করে দিয়েছি ডিসেম্বর-জানুয়ারি, কিছু কাজ এগিয়ে রেখে আমরা যাচ্ছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন