ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বৃথা গেল মরিস-রাবাদার প্রাণান্তকর চেষ্টা

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১০, ২৩ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৃথা গেল মরিস-রাবাদার প্রাণান্তকর চেষ্টা

ক্রীড়া ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে ১৪৩ রানের টার্গেট খুব বড় ব্যাপার নয়। শনিবার দিবাগত রাতে দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসকে এই রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

দিল্লির সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিল এই রান তাড়া করে হেসেখেলে জিতে যাবে তাদের দল। কিন্তু সব সময় প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি যে এক হয় না। শনিবার মধ্যরাতেও তেমনটি হয়নি।

১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দিল্লি। ১০ রানে দ্বিতীয়। ২০ রানে তৃতীয়। ২১ রানে চতুর্থ। ২১ রানেই পঞ্চম। ২৪ রানে ষষ্ঠ। ২৪ রানেই ছয়-ছয়টি উইকেট হারানোর পর দিল্লির সহজ জয়ের স্বপ্ন সেখানেই আত্মাহুতি দেয়। যে ছয়জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন তাদের তিনজন শূন্যরানে। বাকি তিনজনের একজন ৯, একজন ৬ অপরজন ৫ রান করেন।

সপ্তম উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদার সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন ক্রিস মরিস। ২৪ রান থেকে তারা দুজন দলীয় স্কোরকে টেনে নিলেন ১১৫ রান পর্যন্ত। ৮ বলে জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান থাকলে ৮ বলে এই রান তোল অসম্ভব কিছু ছিল না। কিন্তু দিল্লির যেসব ব্যাটসম্যান অবশিষ্ট ছিলেন তারা যে লেজের ব্যাটসম্যান।

১১৫ রানের মাথায় কাসিগু রাবাদা আউট হন। যাওয়ার আগে খেলে যান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ৩৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন রাবাদা। প্যাট কামিন্সকে নিয়ে ক্রিস মরিস চেষ্টাটা অবশ্য করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। ক্রিস মরিস ৪১ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৫ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্যাট কামিন্স।

সপ্তম উইকেটে রাবাদা ও মরিসের যে প্রাণান্তকর চেষ্টা সেটা বৃথা যায় তাতে। বৃথা যায় রাবাদার ক্যারিয়াস সেরা ইনিংস। তার সঙ্গে বৃথা যায় ক্রিস মরিসের ৪১ বলে খেলা ৫২ রানের ইনিংসটিও। এমনকী সপ্তম উইকেটে গড়া তাদের  ৯১ রানের জুটিও। বল হাতে মুম্বাইর মিশেল ম্যাক্লেনাঘান ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ১টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।

এর আগে জস বাটলারের ২৮, কিরেন পোলার্ডের ২৬ ও হার্দিক পান্ডিয়ার ২৪ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বল হাতে দিল্লির প্যাট কামিন্স ও অমিত মিশ্র ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।

বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বোলার মিশেল ম্যাক্লেনাঘান।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়