ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সড়কে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে রাতে দপ্তরে অবস্থান মমতার

শাহেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ২ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সড়কে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে রাতে দপ্তরে অবস্থান মমতার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন মহাসড়কে সেনা মোতায়েন করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতভর নিজের দপ্তরে অবস্থান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও কয়েকজন মন্ত্রী।

 

রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরে অবস্থান নেয়া মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডানকুনি, পালসিট ও মুর্শিদাবাদে টোল প্লাজায় গাড়ি থামিয়ে সেনারা তল্লাশি চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছেন এতে। যতক্ষণ না রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজা থেকে সেনাবাহিনী সরছে ততক্ষণ তিনি নবান্ন ছেড়ে যাবেন না।

 

তিনি বলেন, ‘এখানে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে নাকি? তবে কি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থার পাশাপাশি গোটা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল? আমি জনগণের পাহারাদার। রাজ্যের সব জায়গা থেকে যতক্ষণ না সেনাবাহিনী সরছে, ততক্ষণ আমি নবান্ন ছেড়ে যাব না।’

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছোটখাটো মহড়ার জন্যও সেনাবাহিনীকে রাজ্যের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেনারা রাজ্যের কোনো অনুমতিই নেয়নি।’

 

সেনাবাহিনী অবশ্য জানিয়েছে, এটা তাদের রুটিন কর্মসূচি। কখনও যুদ্ধের পরিস্থিতি হলে রসদ ও পানীয় জল বিভিন্ন ছাউনিতে পৌঁছনোর জন্য প্রচুর মালবাহী গাড়ির প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জওয়ানরা কত গাড়ি নিতে সক্ষম, দু’দিন ধরে পূর্ব ভারতের সব রাজ্যে সমীক্ষার মাধ্যমে তারই হিসেবনিকেশ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম— সর্বত্রই একাধিক জায়গায় সেনাবাহিনীর এই কর্মসূচি চলছে।

 

সেনাবাহিনীর দাবি, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে জানিয়েই তারা এই সমীক্ষা চালাচ্ছে। প্রথমে তারা ২৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গে এই সমীক্ষা চালানোর অনুমতি নিয়েছিল। পরে পুলিশের অনুরোধেই সেই তারিখ পিছিয়ে ১ ডিসেম্বর করা হয় ।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ ডিসেম্বর ২০১৬/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ