ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পাহাড়ের ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ

মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫১, ৩ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১২:৩৩, ৩ জানুয়ারি ২০২১
পাহাড়ের ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ঢাকা-সিলেট পুরানো মহাসড়কের ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদ। এই ব্রিজটির অবস্থান উপজেলার ছন্ডিছড়া চা বাগান এলাকায়। একইভাবে পুরনো মহাসড়কের আরও চারটি ব্রিজ ও প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা হুমকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, এ মহাসড়কের চুনারুঘাটের চান্দপুর চা বাগানের মুখ থেকে মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া পর্যন্ত অতিগুরুত্বপূর্ণ ৫টি ব্রিজের গোড়া থেকে বালু মাটি অনেকটা সরে গেছে। এর ফলে ছড়ার কাছে এ সড়কের কয়েক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরিভাবে হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে  অস্থায়ীভাবে সংস্কার কাজ করানো হয়েছিলো। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই সংস্কার করা স্থানে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পরিবেশ প্রেমিক নুরুল ইসলাম জানান, এখানে বাগান থেকে চলে আসা বিভিন্ন ছড়া থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। এ কারণে ব্রিজের গোড়া ও সড়কের পাশে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেকোনো সময়ে ব্রিজগুলো ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যেতে পারে।

বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্রিজগুলো ও সড়কের ভাঙন স্থানগুলো মেরামত করার জন্য তিনি দাবি জানান।

হবিগঞ্জের বাসিন্দা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর আজীবন সদস্য ড. জহিরুল হক শাকিল জানান, এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। পুরনো মহাসড়কের ব্রিজ ও সড়ক রক্ষা না করা হলে এগুলো ধ্বংশ হয়ে যাবে।

ব্রিজ, রাস্তা আর টিলা ধসের কারণ হিসেবে ছড়া থেকে অবাধে বালু উত্তোলনকে দায়ী করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল জানান, হবিগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় ফল, ফসল উৎপাদনে লাখ লাখ মানুষ নিয়োজিত আছে। এতে জীবিকার পথ তৈরি হয়েছে। সরকারও পর্যাপ্ত রাজস্ব পাচ্ছে। এছাড়া, পরিবেশ রক্ষায় বিরাট ভূমিকা পালন করে এসব পাহাড়-টিলা। এখানকার গাছ-গাছালির উপস্থিতি মাটি ও পাহাড়-টিলা ধস ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই পর্যাপ্ত গাছ লাগানোর পাশাপাশি অবাধে ছড়ার বালু তোলার ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সজীব আহমেদ জানান, ব্রিজের গোড়া ও সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছিলো। তারপর যদিও মাটি সরে গিয়ে থাকে, তবে লোক পাঠিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হবিগঞ্জ/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ