ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

দুর্ঘটনায় পড়া সেই স্পিডবোটের চালক ‘মাদকসেবী’ ছিলেন: চিকিৎসক

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ৭ মে ২০২১  
দুর্ঘটনায় পড়া সেই স্পিডবোটের চালক ‘মাদকসেবী’ ছিলেন: চিকিৎসক

মাদারীপুরে দুর্ঘটনার শিকার সেই স্পিডবোট চালক নিয়মিত মাদক সেবন করতেন।

শুক্রবার (৭ মে) সকালে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক ঘোষ বিষয়টি জানিয়েছেন।

ডা. শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, ‘স্পিডবোট চালক মো. শাহ আলম (৩৬) নিয়মিত ইয়াবা ও গাঁজা সেবনে আসক্ত ছিলেন।  দুর্ঘটনার পর এই চালকের শরীর থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে তার মাদক সেবনের প্রমাণ মিলেছে। তিনি নিয়মিত এমফিটামিন (ইয়াবা) ও মারিজুয়ানা (গাঁজা) সেবনে আসক্ত ছিলেন। এরই মধ্যে আমরা তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পেয়ে সেটা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি।’
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) রহিমা খাতুন বলেন, ‘দুর্ঘটনার আগে চালক মাদক সেবন করেছেন। তিনি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। ডোপ টেস্ট থেকে এসব তথ্য আমরা পেয়েছি।’

ডিসি জানান,  এখন থেকে কোনো মাদকাসক্ত যেন স্পিডবোট চালক না হতে পারেন সেই বিষয়টি কঠোরভাবে দেখা হবে। চালকদের প্রশিক্ষণ, স্পিডবোটের রেজিস্ট্রেশন ও চালকের লাইসেন্স থাকতেই হবে। এসব না থাকলে এখানে আর কোনো অবৈধ নৌযান চলতে দেওয়া যাবে না।

এছাড়া, স্পিডবোট চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার আগে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে। এমনকি নিয়মিত তাদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। যারা মাদকাসক্ত হবেন বা ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসবেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

উল্লেখ‌্য, গত সোমবার (৩ মে) ভোরে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে শিমুলিয়া থেকে আসা একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায় এবং পরে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম, দুই মালিক চান্দু মিয়া ও রেজাউল এবং ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খানের নামসহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

দুর্ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই চালককে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় ভর্তি করা হয়।

বেলাল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়