ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার আত্মহত্যা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৩:০৫, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার না পেয়ে বাবার আত্মহত্যা

কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে তুলে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন পলাশ চন্দ্র বর্মন (৩০) নামের এক যুবক। এঘটনার বিচার দাবি করলে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন পার হলেও কোনো সুরাহা পাননি ভুক্তভোগী বাবা। বারবার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েও কোনো বিচার না পেয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করেছেন গজেন চন্দ্র বর্মন (৫০) নামের এক ব্যক্তি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের। 

আরো পড়ুন:

মারা যাওয়া গজেন চন্দ্র বর্মন একই ইউনিয়নের মৃত নেভুরাম বর্মনের ছেলে।

গত বুধবার রাতে গলায় চাঁদর পেঁচিয়ে বাড়ির অদূরে আবাদি জমির পাশের একটি পাকুর গাছের ডালের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন গহেন চন্দ্র বর্মন। 

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যাওয়া ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।

গজেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে সুজন বর্মন জানান, তার কলেজ পড়ুয়া ছোট বোনকে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র বর্মনের ছেলে পলাশ চন্দ্র বর্মন বাড়ি থেকে টেনেহিচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় পলাশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পলাশ সেখান থেকে পালিয়ে যান। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তার বোন। পরে তার বোনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে আমাদের পারিবারের সম্মানহানি হয়। আমরা পলাশের বিচার দাবি করলে চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন আমাদের আশ্বস্থ করেন বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে। কিন্তু দিনের পর দিন অতিবাহিত হলেও কোনো উদ্যোগ নেননি চেয়ারম্যান। পরে গত ২৪ জানুয়ারি চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই।

তিনি আরও জানান, ১ ফেব্রুয়ারি ছিলো ইউনিয়ন পরিষদে বসার ধার্য তারিখ। সেখানেও বসা হয়নি বলে আমরা ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। সেই আশঙ্কা থেকেই গত বুধবার রাতে আমার বাবা কাউকে কিছু না বলে আত্মহত্যা করেছেন। 

এ বিষয়ে মাগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে উভয়পক্ষকে নোটিশ করেছি। গত ১ ফেব্রুয়ারি বসার কথা ছিলো। কিন্তু অভিযোগকারীরাই আসেননি। না আসলে কিভাবে সুরাহা করবো? আমি আত্মহত্যার খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে কেন ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন তা আমি জানি না।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বের কোনো বিষয়ে আমরা অবগত না। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবু নাঈম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়