রাসিক নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বিএনপি নেতার ভাই

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলছে দলটি। তবে রাসিকের এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফার ভাই সাঈদ হাসান।

সাঈদ হাসান বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে। আমি সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি। নির্বাচন করলে দলীয় একটা বাধা আসবে। আবার নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হবে কি না সেটিও একটা ব্যাপার। সবকিছু মিলিয়ে আমি ভাবছি। পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে পারবো।’

সাঈদ হাসান রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপিও ছিলেন তিনি। পরে রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হন। সর্বশেষ ২০১১ সালের দিকে মহানগর বিএনপির যে কমিটিতে মিজানুর রহমান মিনু সভাপতি ও শফিকুল হক মিলন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সেই কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন সাঈদ হাসান।

ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী সাঈদ হাসান এখন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তোলেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু এবং ব্যবসায়ী সাঈদ হাসান। বিএনপি দুজনকেই মনোনয়ন দেয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দুজনেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে মিনুর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হলে সাঈদ হাসান নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

সাঈদ হাসানের ভাই নাদিম মোস্তফা এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তিনি রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্যও তিনি। 

নাদিম মোস্তফার ভাই সাঈদ হাসান রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লড়বেন, নগরে এমন আলোচনা কয়েকদিন ধরেই চলছিল। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাংশ কৌশলে সাঈদ হাসানকে প্রার্থী করছে বলেও আলোচনা রয়েছে।

সাঈদ হাসানের প্রার্থী হওয়ার আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা বলেন, ‘সাঈদ হাসান তো বিএনপির কমিটিতে নেই। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। সাঈদ হাসান প্রার্থী হলেও আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা তো ভোটই দিতে যাব না।’