ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় হামুন

নোয়াখালীতে আতঙ্কে দ্বীপের মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৩  
নোয়াখালীতে আতঙ্কে দ্বীপের মানুষ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‌‘হামুন’-এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা নদী। একই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বয়ে চলছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন হাতিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়ি বাঁধের পাশে বসবাস করা সাধারণ মানুষজন। দুর্যোগ মোকাবিলায় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে জরুরি সভা করেছে  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। 

এদিকে, সকাল থেকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে নলচিরা, তমরদ্দি, চরচেঙ্গা, জাহাজমারাসহ হাতিয়া-চট্টগ্রাম, হাতিয়া-ঢাকা রুটে সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে হাতিয়ার সঙ্গে দেশের অন্যান্য স্থানের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, নিঝুমদ্বীপে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও মৃদু বাতাস হচ্ছে। দোকানপাটে মানুষ নেই। বেশিরভাগ মানুষ ঘরে অবস্থান করছেন। ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা শুনে আতঙ্কে আছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে নিঝুমদ্বীপের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই  দ্বীপটিতে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। ঘূর্নিঝড় মোকাবিলায় হাতিয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নলচিরা ও চেয়ারম্যানঘাটে অনেক যাত্রী আটকা পড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে এখনো কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য।

জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পর্যবেক্ষক আজরুল ইসলাম বলেন, হাতিয়াসহ উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সোমবার ৩৭ মিলিমিটার এবং আজ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়