ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

খুলনায় ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি জমজমাট  

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪  
খুলনায় ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি জমজমাট  

হাঁড় কাপানো শীতের প্রভাব পড়েছে খুলনার শীতের কাপড় ব্যবসায়। হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। বিশেষ করে নগরীর ফুটপাতে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। গরম কাপড়ের সঙ্গে অর্থেরও গরম বোধ করছেন তারা। তাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা আরও ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা।

তীব্র শীতের কারণে উষ্ণতার জন্য গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। ভিড় দেখা গেছে শীতবস্ত্রের দোকানে। স্বল্প মূল্যের কারণে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষেরাই বেশি ভিড় করছেন এসব দোকানে। মধ্যবিত্তরাও ঘুরছেন ফুটপাতের দোকানে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট কিনতে অনেকে সেখানে ছুটছেন।

আরো পড়ুন:

নগরের আহসান আহমদ রোডস্থ ফুটপাতের গরম কাপড় বিক্রেতা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, শীতে বিক্রি বেড়েছে। তার দোকানে মাফলার এবং টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ফুটপাতের বিক্রেতা মো. সজিব বলেন, সম্প্রতি তীব্র শীতের কারণে ভালো ব্যবসা হচ্ছে। গরম কাপড় বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভ হচ্ছে বেশ।

সার্কিট হাউস মাঠে খোলা আকাশের নিচে গরম কাপড় সাজিয়েছেন বিক্রেতা মো. আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, স্বল্প মূল্যে তিনি শীতের কাপড় বিক্রি করছেন। এরমধ্য ২০ টাকা থেকে ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যে মানসম্মত সোয়েটার পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এভাবে শীত অব্যাহত থাকলে বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

নগরীর রেলওয়ে মার্কেটের ক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখন মনে হচ্ছে শীতকাল এসেছে। ভেবেছিলাম এ বছর শীতের দেখা মিলবে না। শীতের জ্যাকেট কিনতে এসেছি। কিন্তু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। আগে যেসব পোশাক ৫০০-৬০০ টাকা কেনা যেত। সেটি এখন ৭০০-৯০০ টাকা হাঁকাচ্ছেন।’

ক্রেতা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে মাফলারেও শীত নিবারণ হচ্ছে না। তাই ফুটপাত থেকে স্বল্পমূল্যে গলাসহ টুপি কিনলাম।’ অপর ক্রেতা ফাহাদ ইসলাম বলেন, ‘তীব্র শীত পড়েছে। অভিজাত দোকানে গরম কাপড়ের দাম বেশি। দেড় থেকে ২ হাজার টাকার নিচে ভালো সোয়েটার পাওয়া যায় না। তাই মাত্র ৫০-১০০ টাকার বিনিময়ে ফুটপাত থেকে গরম কাপড় কিনেছি।’

দোকানো আসা সোহেল রানা বলেন, ‘এখন ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। দাম হাঁকিয়ে বসে থাকছেন। তারপরও পছন্দ মতো একটি সোয়েটার কিনতে পেরেছি।’

শীতে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রিকশা চালক আসলাম শেখ বলেন, ‘শীতে অবস্থা কাহিল। কিন্তু পেটতো বাঁচাতে হবে। তাই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতে লোকজনও কম। আবার আয় না হলে সংসার চালতে পারব না। আমাদেরই সমস্যা বেশি।’

অবশ্য তীব্র শীতে পিঠার দোকানে বিক্রি জমজমাট। নগরীর তারেরপুকুর, মোল্লাবাড়ি মোড়, দোলখোলা, বৈকালী, খালিশপুরের মৌসুমী পিঠার দোকানে ভিড় চোখে পড়ার মতো।

পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে আসা মোরশেদ আলম বলেন, ‘শীতে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে পিঠা তৈরিতেও ঝামেলা। তাই ছেলে ও বউকে নিয়ে চলে এলাম তারেরপুকুর। কিন্তু যে ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।’

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সরকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সারা দেশের ন্যায় খুলনা অঞ্চলেও তাপমাত্রা কমছে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
 

/বকুল/

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়