ঢাকা     সোমবার   ১৭ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ৩ ১৪৩১

শেষ পর্ব

ওদের পকেট ভরে, সবার ভোগান্তি বাড়ে 

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২৬ মে ২০২৪   আপডেট: ২০:১৮, ২৬ মে ২০২৪
ওদের পকেট ভরে, সবার ভোগান্তি বাড়ে 

ছবি: গ্রাফিক্স

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ‘অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষবাণিজ্যের’ কারণে উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) পকেট ভরলেও জনগণের ভোগান্তি বাড়ে—স্থানীয়দের এমন অভিযোগ রয়েছে। গত চার মাস ধরে মানিকগঞ্জের ৫টি উপজেলায় সরেজমিন অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্প—বিশেষ করে গ্রামীণ রাস্তাঘাট মেরামতকাজের দুরবস্থা এবং এলাকার মানুষের দুর্ভোগের করুণ চিত্র। 

দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের টেপরি এলাকার জরিমন বেগম। বয়স ৮০ পার করেছেন। তার বাড়ির সামনের মাটির রাস্তা বছরখানেক ধরে ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে কোনও গাড়ি গেলেই বাড়ি ও আশপাশ ধুলায় ভরে যায়। ফলে প্রায় সময়ই জরিমন বেগমকে শ্বাসকষ্টে ভুগতে হয়। 

জানতে চাইলে জরিমন বেগম স্মৃতিচারণ করে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এক যুগে কতবার রাস্তাডা মেরামত অইলো, কিন্তু কামের কাম কিছুই অইলো না। এ জীবনে একটাই চাওয়া, রাস্তাডা জানি সুন্দর কইরা দেওন অয়, অসুস্থ অইলে জানি তাড়াতাড়ি রাস্তা দিয়া হাসপাতালে যাইবার পাড়ি’।

রাস্তাটি এক যুগে কয়েক দফা মেরামত হতে দেখেছেন জরিমন বেগম

একই এলাকার খোদেজা বেগমের কাছ থেকে জানা যায়, গতবারের নির্বাচিত কলিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য লিটন এই রাস্তায় একবার মাটি ফেলেন। এবারের নির্বাচিত মফিজুল এই রাস্তার কাজ আবার করেন। তারও আগে আরেকবার কাজ হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ বার রাস্তার কাজ করতে দেখেছেন তিনি। রাস্তার উন্নয়নে আশপাশের জমিমালিকরাও মাটি দিয়েছেন। তিনবারই অল্প অল্প মাটি ফেলা হয়েছে। তবে, সময় গড়ানোর সাথে সাথে তা আবার ধুলার রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে এ রাস্তায় এখন চলাচল করা কষ্টকর। 

আরেক বাসিন্দা আদু মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কোনওরকমে আশপাশের জমি থেকে মাটি কেটে রাস্তায় দেওয়া হয়। ঠিকমতো মাটি দেওয়া হলে রাস্তাটি এতদিনে আরও উঁচু হতো। কিন্তু রাস্তা যা, তা-ই আছে। এসব রাস্তার কাজে কত টাকা আসে আর কত ব্যয় হয়, তা আমরা জানি না; জানতেও চাই না। শুধু রাস্তাটা ঠিকঠাক থাকলেই আমরা খুশি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) সাধারণ প্রথম পর্যায়ের আওতায় ‘টেপরি মাঠ হতে মাদুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত’ কাজে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনুসন্ধান বলছে, এ প্রকল্পেও পিআইও’র অনিয়মের ফলে রাস্তার কাজ ঠিকঠাক না হওয়ায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি বেড়েছে। 

‘সেলিনা মেম্বারের বাড়ি হতে আফসার ডাক্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ কাজে ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআর নির্বাচনি এলাকাভিত্তিক ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। রাস্তাটি ঘুরে দেখার সময় কথা হয় সাবেক ইউপি সদস্য সেলিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘৯-১০ বছর আগে ইউপি সদস্য থাকাকালে প্রথম এ রাস্তাটির প্রকল্প নেওয়া হয়। তারপর কয়েক বছর আগে লিটন মেম্বার আরও একটি প্রকল্প নেন’। 

‘এতো প্রকল্প নেওয়ার পরেও রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচলের উপযোগী হচ্ছে না কেন’— এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। 

তবে, রাস্তাটির বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কত বছর ধইরাই দেখতাছি রাস্তায় একটু একটু কইরা মাটি ফালান অয়। তয় এহনো রাস্তা দিয়া ভালোমতন চলন যায় না। রাস্তা বেশি ভালো না হওনে রিকশা, ভ্যান এদিকে আহে না। হাঁইট্যা গিয়া গাড়িতে উঠন লাগে’।

এদিকে, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশের রাস্তাটিও বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ করা হয়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআর সাধারণ তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় ‘আইয়ুবের বাড়ি হতে মফিজুল মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত’ রাস্তা মেরামত কাজে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনুসন্ধান বলছে, ইউপি সদস্য নিজে প্রকল্পসভাপতি হওয়ার পরেও পিআইও’র ঘুষের রোষানলে পড়ে বরাদ্দের পূর্ণাঙ্গ টাকা পাননি। ফলে, ওই রাস্তা ব্যবহারকারীরা ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে।


 

ইউপি মেম্বারের নিজ বাড়ির প্রবেশের রাস্তাতেও দুর্নীতি

এ রাস্তার বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা রওশনারা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বর্তমান মেম্বারের বাড়িতে যাওয়া আসার-রাস্তাতেও মাটি ফেলা হয়নি। বালু ফেলে রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। রাস্তার মাথাও বাঁকা। পাশে পুকুর থাকায় চেগার দেওয়া দরকার। না হলে রাস্তাটি ধসে যেতে পারে। এ রাস্তায় বৃষ্টির দিনে চলাচলে ভোগান্তি বাড়ে।’ 

আরেক বাসিন্দা রিনা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘রাস্তাটি খাড়াভাবে নির্মাণ হওয়ায় শিশুরা চলাচল করতে ভয় পায়। আমরা চাই রাস্তাটির বরাদ্দ বাড়িয়ে সুন্দরভাবে যেন করা হয়।’ 

এ রাস্তার প্রকল্পসভাপতি ও ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে আগের ইউপি সদস্যের চেয়ে সর্বোচ্চ কাজ করার চেষ্টা করছি। পিআইও অফিস যেভাবে দিক-নির্দেশনা দেয়, সেভাবেই কাজ করি’। 

২০২২-২৩ অর্থবছরে টিআর সাধারণ প্রকল্পে ১ম পর্যায়ে জিয়নপুর ইউনিয়নের ‘পংতিরছা বেল্লালের বাড়ি হতে পশ্চিম পাড়া নতুন মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা মেরামত’ কাজে ৯৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নতুন মসজিদের সামনে থেকে পুরাতন মসজিদ হয়ে রাস্তায় বালু ফেলে সংস্কার কাজ দেখানো হয়েছে। আর এসব বালু অবৈধ ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে তোলা হয়েছে। বালু ফেলে সংস্কার কাজ করায় বর্ষা মৌসুমে সড়কটি আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জানিয়ে এলাকাবাসী মন্তব্য করেন, নদী থেকে বালু তোলায় প্রকল্পসভাপতির ড্রেজার আর শ্রমিক খরচ ছাড়া পুরোটাই লাভ। আর পিআইও নিজের পকেট আগেই ভরাতে রাস্তা টেকসই হলো, না জলে গেলো— তা দেখার প্রয়োজন মনে করেন না। 

রাস্তাটির শেষ প্রান্ত বেল্লালের বাড়ির দোকানের সামনে গিয়ে জয়েন শেখ, কামরুল, নার্গিসসহ কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, ড্রেজার সরকার নিষিদ্ধ করেছে, তা সবারই জানা। এসব ড্রেজারের ফলে নদীভাঙন দেখা দেয়। তবে, রাস্তার জন্য ড্রেজার ব্যবহার করায় কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু রাস্তায় বালু ফেলায় তা বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে পারে। 
 
এ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য সুফিয়া বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পিআইও অফিস থেকে শুরু করে সব কাজ চেয়ারম্যান তদারকি করেছেন’। 

জিয়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রকল্প তালিকা পাঠানোর পর পিআইও অফিস যাচাই-বাছাই শেষে বরাদ্দ করে দেয়। সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে মাটি ফেলতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। তাই বালু ফেলে কাজ করা হয়েছে’।

ঘিওর উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের কান্দাকুষ্টিয়া গ্রামের সাহেব আলীর বাড়ি হতে মহর আলীর বাড়ি পর্যন্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাবিখা প্রকল্পের ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ পান পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন-অর-রশীদ। অনুসন্ধান বলছে, প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করেনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সভাপতি। এই অনিয়মকে আড়াল করার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে কাজ শুরু করেন তারা। ওই প্রকল্পে মহর আলীর বাড়ি পর্যন্ত কাজ করার কথা থাকলেও ভরাট করা হয়েছে চান্নু বেপারীর দোকান পর্যন্ত। এ ছাড়া, কাবিখা প্রকল্পের রাস্তার মাটি শ্রমিক দিয়ে ভরাট করার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও সভাপতি। মাটির বদলে পাশের কালিগঙ্গা নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে মানুষের বসতভিটা ও কৃষিজমি।

কান্দাকুষ্টিয়া গ্রামের মতিয়র রহমান বলেন, ভরাটের আগেই এই মাটির রাস্তার অবস্থা ভালো ছিল। এখন বালু দিয়ে ভরাটের কাজ করায় কোনও গাড়ি চলতে পারে না।

একই গ্রামের জিল্লুর রহমান ও সোলায়মান জানান, এই রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। এখানে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার বালু ভরাট করা হয়েছে কি-না সন্দেহ। চেয়ারম্যান ও সরকারি অফিসাররা মিলে কিছু টাকার কাজ করে বাকি টাকা খেয়ে ফেলেছে। এ কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই কয়েক জায়গায় ধসে গেছে। কাজ ঠিকঠাক না হওয়ায় জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে।

পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ওই প্রকল্পের সদস্য জয়নাল আবেদীন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে’। ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সভাপতি হারুন-অর-রশীদকে ‘কাজের অনিয়মের’ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ওই সময়ে দায়িত্বপালনকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিয়মমাফিক সব কাজ করা হয়েছে। আমার সময়ে কেউ অনিয়ম করার সুযোগ পাননি’।

দফায় দফায় প্রকল্প নেওয়া হলেও রাস্তার কাজ শেষ হয় না
 

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নে টিআর ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম পর্যায় এমপি কোটায় মিতরা ছাপড়া মসজিদ হতে মিতরা বাজার হয়ে মনিন্দ্রের বাড়ি হয়ে ঝরনার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার কাজে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঝরনা বেগম, সাইদুর, শাহিনুরসহ এলাকাবাসীর দাবি, ছাপড়া মসজিদ থেকে ঝরনার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তায় কোনও কাজই হয়নি। ইটের সোলিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। 

জানতে চাইলে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য মঞ্জুর আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘কাগজে-কলমে তিনি সভাপতি হলেও কাজটি করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন’। 

মো. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এমপি কোটায় কাজ করতে হলে একজন ইউপি সদস্যকে সভাপতি করতে হয়। কাজটি আমিই করেছি। তাকেও খরচাপাতি দিয়েছি। কত টাকার কাজ ছিল তা মনে করতে পারছি না। তবে অফিসখরচ দেওয়া হয়েছিল ও অফিসের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হয়েছে।’

ওই সময় দায়িত্ব পালনকারী পিআইও বদলি হয়ে যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম সালেকুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের প্রতিটি প্রকল্প পরিদর্শন করে বিল দেওয়া হয়েছে। একাধিক প্রকল্প থাকায় অনেক সময় জনবল সংকটের কারণে পুরো বিষয় নজরদারি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কোথাও অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগ ওঠা ওই প্রকল্পে অনিয়ম হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’। 

সার্বিক অনিয়ম ও জনগণের ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরা হলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামছুজ্জামান আসিফ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। পিআইও-দের এমন অনিয়মের বিষয়ে অধিদপ্তরকে জানানো হবে’।

পড়ুন ১ম পর্ব: তৃণমূলের উন্নয়ন প্রকল্প ‘সাত ভূতে’ লুটপাট 

/এনএইচ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়