সখীপুরের তালতলা চত্বরে ১৭ বছর পর বিএনপির সমাবেশ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রায় ১৭ বছর পর টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহাসিক তালতলা চত্বরে সমাবেশ করেছেন। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাঁরা এ সমাবেশ করেন। এত দিন চত্বরটি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে ছিল। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনেক আবেদন-নিবেদন করেও বিএনপির কর্মীরা চত্বরে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেননি।
উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজকের কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত নেতাকর্মী মিছিলসহ পিকআপ, ব্যাটারিচালিত অটো ও মোটরসাইকেলে করে সখীপুর পৌরসহরের প্রাণকেন্দ্র তালতলা চত্বরে জড়ো হন। দুপুর ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে উৎসুক জনতা তাদের বক্তব্য শোনেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে নরকে পরিণত করেছিল। দেশে বাক্-স্বাধীনতা বলে কিছু ছিল না। লুটপাট, দখল, দুর্নীতিতে দেশটাকে নিঃস্ব করা হয়েছে। কয়েক লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে এ স্থানে কোনো সভা সমাবেশ করতে পারিনি। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নাম নিতে পারিনি। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের স্বাধীনভাবে মাঠে নামতে দেয়নি। রাস্তায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে বের হলেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের নির্যাতন করেছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। তাদের খারাপ পরিণতির মধ্য দিয়ে জুলুম–নির্যাতনের অবসান হয়েছে। দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আইনজীবী আহমেদ আযম খান বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। আপনারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন। কোথাও লুটপাট হলে আপনারা দুর্বৃত্তদের ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করবেন।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
কাওছার/বকুল