ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২

চরফ্যাশনে ১০ হাজার মানুষের চোখের চিকিৎসা

ভোলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৫  
চরফ্যাশনে ১০ হাজার মানুষের চোখের চিকিৎসা

‘আমার চোখ আমার আলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), বাংলাদেশ ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (বিডিপিসি), আদ্-দ্বীন হাসপাতাল, ডাটা ইয়াকা ও কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের উদ্যোগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার ১০ হাজার মানুষের চোখের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ‘আমার চোখ আমার আলো’ নামে পাইলট প্রকল্পের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় শশীভূষণ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় এ সব কথা জানানো হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সিপিপির পরিচালক আহমাদুল হক।

আরো পড়ুন:

সভায় জানানো হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ‘আমার চোখ আমার আলো’ প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজার ৫০০-এর বেশি রোগী চক্ষু চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া ৪ হাজার ৬০০ মানুষের মাঝে চশমা বিতরণ করা হয়েছে এবং ৩ হাজারের বেশি চোখের ছানি অপারেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে আরো জানানো হয়, ইতোমধ্যে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং যাদের জটিলতা বেশি, তাদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বিডিপিসির পরিচালক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান এবং সমাপনী বক্তব্য দেন ডাটা ইয়াক্কা অস্ট্রেলিয়ার আইটি বিশেষজ্ঞ মোহাম্মাদ হাসিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুজাফর, এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন, ভোলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান এবং চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রসনা শারমিন মিতি।

প্রান্তিক পর্যায়ের ১০ হাজার মানুষকে চক্ষুসেবা দেওয়ার জন্য এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আইটি বিশেষজ্ঞ হাসিবুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের চেষ্টা চক্ষুসেবা প্রোগ্রামের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষ যেন চোখের আলো ফিরে পায়।

সভায় আলোচকরা বলেন, এ ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ প্রান্তিক জনগণের জন্য নতুন আশার দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং ভবিষ্যতে এই মডেল দেশের অন্যান্য জেলাতেও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়