চুয়াডাঙ্গা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মারা গেছে
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৪৭) মারা গেছে। শিপলু চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার মরহুম আব্দুল হকের ছেলে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তিনি তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়।
শিপলুর মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে শিপলুর জানাজা শেষ রেলবাজার সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান কিশোর জানান, মির্জা শিপলু বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যান। চিকিৎসা শেষে কিছু মেডিকেল টেস্ট করার কথা ছিল। রাতে ছোট ভাইয়ের বাসভবনে একাই অবস্থান করছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়। সকালে পরিবারের সদস্যরা অনেকবার ফোন কল করলেও তিনি রিসিভ করেছিলেন না। পরে তার ছোট ভাই রাতুল ও পরিবারের সদস্যরা ধানমণ্ডির বাসভবনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোক বার্তায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম মির্জা শিপলু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশ নেন।’’
মির্জা ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা/মামুন/বকুল