ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

পাসের হারে পিছিয়ে কুমিল্লা বোর্ড, ভরাডুবি ২ বিষয়ে

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৪৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ০৮:১৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
পাসের হারে পিছিয়ে কুমিল্লা বোর্ড, ভরাডুবি ২ বিষয়ে

ফাইল ফটো

দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে। এ বোর্ডে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার মাত্র ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বোর্ডটিতে ভরাডুবি হয়েছে ইংরেজি ও উচ্চতর গণিত বিষয়ে। তবে পাসের হার ও জিপিএ-৫ অর্জনে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।

আরো পড়ুন:

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বোর্ড কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শামছুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৫৭ হাজার ৫২৪ এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৫২ জন। পাস করেছেন মোট ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। এর মধ্যে মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এ বোর্ডে মোট ২ হাজার ৭০৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে ১ হাজার ৭৪৯ এবং ছেলে ৯৫৮ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মানবিক শাখায় ৪৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।

দেশের অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এরপর বরিশাল ৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, রাজশাহী ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, দিনাজপুর ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, সিলেট ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ময়মনসিংহ ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং যশোর বোর্ডে ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। সবচেয়ে নিচে কুমিল্লা বোর্ড ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন বলেন, “এ বছর ইংরেজি ও উচ্চতর গণিতে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে। ইংরেজিতে পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং উচ্চতর গণিতে ৬০ দশমিক ৪৮ শতাংশ।”

এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। বিপরীতে নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি।

স্থানীয় শিক্ষাবিদরা ড.কামাল হোসেন বলছেন, কুমিল্লা অঞ্চলে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়া, ইংরেজি শিক্ষাদানের দুর্বলতা ও প্রস্তুতির ঘাটতি—এই তিন কারণ মিলেই সার্বিক ফলাফল নিচের দিকে নেমে গেছে।

ঢাকা/রুবেল/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়