ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে ৮ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২৯ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ১৩:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
স্কুল পরিচালকের বিরুদ্ধে ৮ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ 

 শহীদ মডেল স্কুল ক্যাডেট একাডেমি। ইনসেট: অভিযুক্ত হাছানুজ্জামান তালুকদার

সিরাজগঞ্জের শহীদ মডেল স্কুল ক্যাডেট একাডেমির পরিচালক হাছানুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির আট শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২৬ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকরা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রোজিনা আক্তার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

আরো পড়ুন:

তিনি বলেন, “শহীদ মডেল স্কুলের পরিচালক হাছানুজ্জামান তালুকদারের বিরুদ্ধে আট শিশু শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ পেয়েছি। ডিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর টিফিনের সময় স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভবনের ছাদে ওঠে। এ কারণে পরিচালক হাছানুজ্জামান তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষে ডেকে বেত্রাঘাত করেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। বাংলাদেশে শিশু শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ। তবুও ওই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে শিশুরা মানসিক আঘাতে ভুগছে ও পড়ালেখার প্রতি তাদের মধ্যে অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে। 

ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাদের দরজা বন্ধ রাখেনি। পরিচালক নিজে শ্রেণি শিক্ষক না হয়েও শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেছেন।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থী তোয়াসিনের মা শ্যামলী খাতুন বলেন, “আমার স্বামীও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমার ছেলেসহ একই রুমে ৮ জনকে ডেকে নিয়ে মারপিট করেছেন স্কুল পরিচালক। প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। পরে দেখি, ওই রাতে আমার ছেলে চিৎকার করে ওঠে এবং শরীরে প্রচুর জ্বর আসে। এই ঘটনায় আমরা ৮ জন অভিভাবক জেলা প্রশাসক বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।”

শিক্ষার্থী ইভানের মা শারমিন সুলতানা বলেন, “অন্ধকার ঘরের ভেতরে নিয়ে আমার সন্তানকে পরিচালক খুব মারধর করেছেন। আমার সন্তান ভয়ে এখন স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। ওই পরিচালক আগে থেকে খারাপ ব্যবহার করেছেন। মারধরের কারণে আমার সন্তানের কোমরের নিচের অংশ ফুলে গেছে।”

শিক্ষার্থী রাজিনের মা বলেন, “ওই পরিচালক খুব খারাপ আচরণ করেন। আমার ছেলে ওইদিন ছাদে ওঠেনি। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে ছিল। অথচ, অন্ধকার রুমে ডেকে নিয়ে তাকেও মেরেছে। ঘটরার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের জন্য আমরা ডিসি অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।” 

স্কুল পরিচালক হাছানুজ্জামান তালুকদার ফোনে বেত্রাঘাতের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “স্কুলের ছাদ থেকে অন্য ছাদে গিয়ে লাফালাফি করছিল শিক্ষার্থীরা। এজন্য সামান্য বেত্রাঘাত করেছি। এ বিষয়ে আমি আর কোনো মন্তব্য করব না।”  

ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়