চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার
জনগণের রায় প্রতিফলিত হয়ে গড়ে উঠবে আগামীর বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন বলেছেন, “আমরা একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করেছি। আমরা আশা করছি, অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারব। জনগণের রায়ে প্রতিফলিত হয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। আগামী ১০০ বছরের বাংলাদেশ গড়ার একটি সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে।”
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে ড. মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, “১৯৭১ সালে ৯ মাসের যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন—তারা কোনো কিছু পাওয়ার আশায় যুদ্ধে যাননি। পৃথিবীর বুকে একটি মানচিত্র আঁকার জন্যই তারা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতার পরও আমরা বারবার পথ হারিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের যে অবদান ও স্বপ্ন, সেই স্বপ্নকে ধারণ করে আমরা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবসময় আন্দোলন করেছি।”
তিনি বলেন, “পরিসংখ্যান বলছে, সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের পক্ষে একটি বড় শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে দেশ স্বাধীন করার কথা চিন্তা করাই অসম্ভব। এই পরিসংখ্যানকে মিথ্যা প্রমাণ করে পৃথিবীর বুকে একটি মানচিত্র আঁকার জন্য, নিজেদের বাসভূমি গড়ার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন, তা কোনো তুলনা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম সাহস ও দেশপ্রেমকে অবমূল্যায়ন করার ধৃষ্টতা কারো নেই।”
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের গর্বিত সন্তান। আজকের বিজয় দিবসে বীর সন্তান ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশপ্রেমের মহাকাব্য রচনা করে আমাদের একটি রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে দেশপ্রেমিক বীর সন্তানরা এখনো আমাদের মাঝে আছেন। আমরা তাদের সুস্থতা ও সুদীর্ঘ জীবন কামনা করি, যাতে আগামী প্রজন্ম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির খান।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. একরামুল করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারিক, চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম জিলানী চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী হোসেন আহমদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ