পর্যটকে টইটম্বুর কুয়াকাটা

সরকারি টানা তিন দিনের ছুটির দ্বিতীয় দিনে পর্যটকে টইটম্বুর হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সৈকতে এ সকল পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে উপজেলা প্রশাসন সহ ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে সৈকত ঘুরে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের জিরো পয়েন্টের বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে সমুদ্রে সাঁতার কাটছেন। কেউ কেউ সৈকতে পাতানো বেঞ্চে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। অনেকে ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন বাহনে ভ্রমণ এবং নানা বিনোদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

শুধু জিরো পয়েন্টই নয়- তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউ বাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার চর, কাউয়ার চর, রাখাইন মার্কেট, সীমা বৌদ্ধ বিহার ও শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারেও রয়েছে পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতি। 

বাড়তি পর্যটকদের কারণে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল মোটেল বুকিং রয়েছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা পর্যটক সেলিম হোসেন বলেন, “বড়দিনসহ সরকারি কেন্দ্রে ছুটি রয়েছে। এই ছুটিকে কেন্দ্র করেই মূলত কুয়াকাটা আসা। গতকাল সকালে এসেছি, সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বিশেষ করে লাল কাঁকড়ার চরে গিয়ে লাল কাঁকড়া দেখেছি। এক দারুণ অনুভূতি সঞ্চয় করে নিলাম।” 

ফরিদপুর থেকে আসা পর্যটক শর্মিলা-হাসান দম্পতি বলেন, “আমরা দুজনেই সরকারি চাকরিজীবী। তিন দিনের ছুটি উপলক্ষে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের সবকিছুই ভালো লেগেছে। তবে খাবারের দাম এবং হোটেল ভাড়া একটু বেশি মনে হয়েছে। আজ আমরা তিন নদীর মোহনা এবং লেম্বুর বন ঘুরব। আগামীকাল বিকালে এখান থেকে বাড়িতে ফিরব।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ছাড়াও মাঠে থানা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং সাদা-পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে। সকল পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকার ঘটনা এড়াতে আমরা বেশি তৎপর রয়েছি।”