ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বইমেলায় বঙ্গবন্ধু

জাওয়াদ ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বইমেলায় বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সৃষ্টির মহানায়ক। তাঁর বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা ও ত্যাগের বিনিময়ে আজ স্বাধীন দেশে আমরা বসবাস করছি। তাঁর সম্পর্কে যতই জানা হোক না কেন, ততই যেন কম বলে মনে হবে।

তাঁকে নিয়ে অসংখ্য লেখক বই লিখেছেন, এমনকি তাঁর নিজের রেখে যাওয়া লেখাগুলোও বই আকারে পাঠকদের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। এ বইগুলো এবার একুশে গ্রন্থমেলাতেও বেশ ভালোই সারা জাগিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বইয়ের স্টলগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। জয় বাংলা প্রকাশনী, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, সিআরআই পাবলিকেশন, বাংলা একাডেমির স্টলগুলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা এবং তাঁর নিজের লেখাগুলো বই আকারে মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছে। এতে করে সাহিত্যে চর্চা এবং ইতিহাসজ্ঞান উভয়ই অর্জন হবে।

জয় বাংলা প্রকাশনীতে এ বছর দুটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি হলো ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। অপরটি ‘পিতা থেকে কন্যা’। বই দুটো লিখেছেন অ্যাডভোকেট সামিমা সুলতানা। বইয়ে চমৎকারভাবে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং পরবর্তীতে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার জীবন ও কর্মের কথা উল্লেখ আছে।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ লিখেছেন এ কে আব্দুল মোমেন। ‘সেভেন্থ মার্চ স্পিচ ভয়েস অফ দ্য হিস্টরি’ লিখেছেন মশিউর মালেক। তৃতীয় বইটি প্রকাশের পর থেকেই বেশ সারা জাগাচ্ছে পাঠকদের মধ্যে। কেননা, বইটি লেখা হয়েছে মূলত শিশু-কিশোরদের জন্য। সহজবোধ্য এবং বোধগম্য করে লেখা হয়েছে বইটি। লেখক মশিউর মালেক বইয়ের নাম দিয়েছেন ‘পাকি রাক্ষস ও বাঙালি মুক্তি’।

শিশুদের জন্য কমিক আকারে সিআরআই পাবলিকেশন নিয়ে এসেছে বই ‘মুজিব’। এটি মূলত গ্রাফিক নভেল চিত্তন, এখানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে চিত্তের সাহায্যে শিশুদের বোধগম্য করে এবং আকর্ষণীয় করে বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। এর সাতটি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং আরো তিনটি বই প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে। এই বইয়ের সম্পূর্ণ গ্রাফিকের কাজ সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় করেছেন। শিশুদের কোমল হৃদয়ে ইতিহাসজ্ঞান বিকশিত করার এ এক অভিনব কৌশল।

স্টলে বই কিনতে আসা এক দম্পতি ও তাদের বাচ্চার সাথে কথা হলো। তারা বলেন, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাসজ্ঞান দেয়ার এ এক অসাধারণ পদক্ষেপ। তাদের মতে, এমন আরো পদক্ষেপ নিলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের বাইরের দুনিয়ায় জ্ঞানও অর্জন করতে পারবে। বাংলা একাডেমি একটি বই প্রকাশ করেছে, যা ইতোমধ্যে পাঠকদের মধ্যে বেশ চমৎকার সারা জাগিয়েছে। বইটি হলো, ‘আমার দেখা নয়াচীন’।

১৯৫২ সালে ‘শান্তি সম্মেলনে’ যোগ দিতে চীন সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সফর নিয়ে পরে বই লেখেন তিনি। ওই শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আরো একটি বই ‘কারাগারের রোজনামচা’, যা কিনা বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লেখা। এই বইটিও পাঠক মনে ভালোই সাড়া দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বইগুলো বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্যে পরিপূর্ণ।

মুক্তিযুদ্ধ মানে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। কারণ, তার যুগান্তকারী ভাষণ এবং তাঁর ত্যাগ বাংলার ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবেই জড়িয়ে আছে। প্রকাশনীগুলোর এমন প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।


ঢাকা/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়