ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নোবিপ্রবিতে ডিন নিয়োগে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৯ মে ২০২১   আপডেট: ১১:১২, ২৯ মে ২০২১
নোবিপ্রবিতে ডিন নিয়োগে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপককে নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপককে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ২৩নং ধারার ৫নং উপধারা অমান্য করা হয়েছে। আইনে ডিন নিয়োগে প্রত্যেক অনুষদের বিভাগগুলোর অধ্যাপকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এবং অধ্যাপক না থাকলে সহযোগী অধ্যাপকদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগের বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি।

জানা যায়, গত ৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন ড. সেলিম হোসেনকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল কাইয়ুম মাসুদ বলেন, ‘অনুষদের ডিন একটি একাডেমিক পদ, এই পদে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন আছে এবং তার বিধান আছে। এটি এমন কোন পদ নয়, যেখানে প্রশাসন ইচ্ছামত নিয়োগ দিতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের উপযুক্ত শিক্ষক থাকার পরেও বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের আইনের ব্যত্যয় কখনো কাম্য হতে পারে না।’

এদিকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ডিন হওয়ার মতো যোগ্য লোক থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ডিন নিয়োগ কতটা যুক্তিসংগত? আমরা চাই, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী যিনি ব্যবসা প্রশাসনে অনুষদের ডিন হওয়ার যোগ্য, তাকেই নিয়োগ দেওয়া হোক।’

ডিন নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে যে তিনজন সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন, তাদের জ্যেষ্ঠতা নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে। যোগদানের দিক দিয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হলেও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই বিষয়টা সমাধান হওয়ার আগ পর্যন্ত অনুষদ পরিচালনা করার জন্য এই ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘এটা আমার কোনো একক সিদ্ধান্ত নয়। বিষয়টি আলাপ আলোচনা করেই ডিন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কাকে দিয়ে কী চালানো যাবে, এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভালো বোঝে। সেই প্রেক্ষিতেই আমরা ডিন নিয়োগ দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক ড. সেলিমকে এর আগে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নিয়োগ দেওয়া নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তখন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েও সুরাহা না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

ফাহিম/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়