ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ৯ জুলাই ২০২৫  
ঢাবি ক্লাবে তালা মারার হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের

মানববন্ধনে তালা মেরে ক্লাব অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্লাবে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে পদ পাওয়া নীলদলের সমর্থকদের অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে তালা মেরে ক্লাব অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ১টায় ঢাবি ক্লাবের প্রবেশ মুখে এক মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদল ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল উভয়ের সমঝোতার ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী এমন কর্মকাণ্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা।

আরো পড়ুন:

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সাদা দলের আপস, মানি না মানব না’, ‘সাদা-নীল ভাগাভাগি, মানি না মানব না’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার-সাবধান’, ‘গণহত্যার মদদদাতারা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

ক্লাবে তালা মেরে অচল করার ঘোষণা দিয়ে ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আল ফাহাদ বলেন, “যদি এই নীল দলের ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে বাতিল না করা হয়, তাহলে আমরা এই ক্লাবে তালা মেরে দেব। এ ক্লাব আমরা অচল করে দেব।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬ বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হল দখল করেছিল, নির্যাতন করেছিল। আর তাদের এসব কর্মকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছিল নীলদলের প্রাধ্যক্ষ আর হাউস টিউটররা। এসব নীল দলের শিক্ষকেরাই ছাত্রলীগের পড়াশোনা না করা নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে রেজাল্ট ভালো করাতো। আওয়ামীপন্থি নীলদলের সিনেট সদস্য রেজাউল করিম এখন ঢাবি ক্লাবের পদে রয়েছেন। সাদাদলের শিক্ষকরা এসব পদ ভাগাভাগি করেছেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ফ্যাসিবাদের পতনধ্বনি শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ এক বছর পর এই ঢাবি থেকেই ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন শুরু করা হয়েছে। গত ১ জুলাই গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের ১৫ সদস্যের সাত জনই আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের শিক্ষক। অত্যন্ত লজ্জার বিষয় যে, বিএনপিপন্থি সাদা দলের শিক্ষকরাই এই কমিটির বৈধতা দিয়েছে।”

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক খান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই নীল দলের জিনাত হুদারা এই ক্লাব থেকেই ষড়যন্ত্র করে গেছে। আমরা তার প্রমাণ পেয়েছিলাম। এখন এই ক্লাবে আবার ডামি কমিটি দেওয়া হয়েছে নীলদল-সাদাদলের সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছে। কলা অনুষদের ডিন সিদ্দীকুর রহমান খান এই কমিটির দায়ীত্বে ছিলেন। আমরা এই কমিটির ঘোষণার দিনকে কালো দিবস হিসেবে দেখছি। এই পুনর্বাসন যদি অবিলম্বে বন্ধ করা না হয়, তাহলে এই আন্দোলন গণ আন্দোলনে পরিণত হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়