ইবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত
ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ইবিতে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালিত হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত, দোয়া মাহফিল, চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ১১৬ নম্বর কক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘জুলাই বিপ্লব/ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়নরত ৭৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক-কর্মকর্তা লাউঞ্জে ‘জুলাই বিপ্লব/স্বাধীনতার নতুন সূর্য/বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়’ শীর্ষক গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন, ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, অধ্যাপক ড. একেএম মতিনুর রহমান, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মুহ. মুজাম্মিল হক মোল্লাহ প্রমুখ।
ইবি ল্যাবরেটরি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এসএম আরিয়ান বলেন, “আমি আজ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। আমি চিত্র এঁকেছি শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে। সে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়েছে এবং তার পিছনে ছাত্র জনতা আন্দোলন করছে- এ রকম একট ছবি এঁকেছি। আমার অনেক ভালো লাগছে। আমি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছবি সম্পূর্ণ আঁকতে পেরেছি।”
পরিদর্শন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে, মাসব্যাপী যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারই অংশ হিসেবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আজকে শুরু হলো। সেখানে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রয়েছে, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, “এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে আরো উন্নত করবে। জুলাই চব্বিশ গণঅভ্যুত্থানকে ইতিহাসের পাতায়, ইতিহাসের খাতায় স্থান করে নেওয়ার জন্য আজকের এ উদ্যোগটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।”
তিনি আরো বলেন, “পুরো মাস আমাদের এই ক্রিয়েটিভ অর্থাৎ সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড চলবে এবং ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান শুধু আমাদের ইতিহাস রচনা করবে না, বাংলাদেশকে একটি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে নেওয়ার জন্য একটা ম্যাগনাকার্টা হিসেবে কাজ করবে। একইসঙ্গে এটা একটা সুষ্ঠু সংবিধানের ধারা প্রতিষ্ঠিত করবে।”
পরে কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম আশরাফ উদ্দীন খানের পরিচালনায় বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জুলাই শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদিকুর রহমান আশ্রাফী, অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী