ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কোভিড পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা শনাক্ত বড় চ্যালেঞ্জ

বিজনেস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ২২:০৪, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
কোভিড পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা শনাক্ত বড় চ্যালেঞ্জ

যক্ষ্মা এবং কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণে যথেষ্ট মিল রয়েছে। তাছাড়া রোগ ছড়ানোর উপায়ও প্রায় একই ধরনের। দুটি রোগের ক্ষেত্রেই ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটে। 

তাই এসময়ে কারও যদি দুই সপ্তাহ ধরে কাশির লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই যক্ষ্মার পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড প্রেক্ষাপটে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি), বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক বৈঠকের আয়োজন করে। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সহযোগী পরিচালক ডা. মাহফুজা রিফাত।

অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেন, ‘একজন যক্ষ্মা রোগী থেকে কমপক্ষে ছয় জনের মধ্যে রোগটি ছড়াতে পারে। তাই কোথাও একজন যক্ষ্মা রোগী পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তির সম্পৃক্ত কমপক্ষে ছয় জনকেই পরীক্ষা করাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে টিবি নির্মূল করতে চাই। কিন্তু দিনে দিনে এর জটিলতা বাড়ছে। বিশেষ করে হাড়, অন্ত্র, জরায়ু এবং অস্ত্রপচারের স্থানে যক্ষ্মার সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে, যা নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত যক্ষ্মা নির্ণয় ও প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে।’

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল টিউবারক্লোসিস প্রোগ্রামের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. রুপালী শিশির। গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ২০২০ এর বরাত দিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশে মোট ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৪২ জন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিলাখে ২২১ জন নতুন যক্ষ্মারোগী শনাক্ত হয়েছে এবং প্রতি লাখে ২৪ জন মারা যান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মা রোগী বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে আশাব্যঞ্জক হচ্ছে, যদি যক্ষ্মা রোগী নিয়মিত ও নির্দিষ্ট মেয়াদে ওষুধ সেবন করেন, তাহলে সব ধরনের যক্ষ্মা রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার সাফল্যের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা বাড়ানোর বিকল্প নেই। যা এ সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

ঢাকা/জেডআর

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়