ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অনলাইন কেনাকাটায় জমেছে বৈশাখী আমেজ

প্রকাশিত: ২২:২৪, ১৪ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২২:৪০, ১৪ এপ্রিল ২০২১
অনলাইন কেনাকাটায় জমেছে বৈশাখী আমেজ

বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ। এখানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একসঙ্গে মেতে ওঠে উৎসবে। থাকে না কোনো ভেদাভেদ। সমস্বরে গেয়ে ওঠে ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো!’ লাল সাদায় মেতে উঠে পুরো বাংলাদেশ। করোনার কারণে ২০২০-২১ সালে নেই উৎসবের আয়োজন। তবুও বাঙালি মন মেতেছে অনলাইনে বৈশাখী কেনাকাটা আর গৃহে নানা আয়োজনে। বর্তমানে ই-কমার্স ও অনলাইনে দেশি পণ্যের প্রসারে শপিং এখন মানুষের হাতের মুঠোয়।  এক ক্লিকেই পেয়ে যাচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। ঘরে বসে উপভোগ করছে উৎসবের আমেজ। তেমনি কিছু মানুষের কথা জানবো যারা করোনাকালেও ধরে রেখেছে বাঙালির দেশি পণ্য ও ঐতিহ্যকে। 

মনিকা আহমেদ (স্বত্বাধিকারী, কণ্যাসুন্দরী)
গতবছরের মতো এবছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে সবাই ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে। যেহেতু বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি তাই অনলাইনই ছিল ক্রেতাদের আস্থা ও স্বস্তির জায়গা। মানুষজন তাদের পছন্দমতো অনলাইন থেকে কেনাকাটা করছেন এবার।আমার কথা বলতে গেলে বলবো আমি এবার ক্রেতাদের অনেক ভালো রেসপন্স পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। তবে শুধু বৈশাখকে কেন্দ্র করে এবার ক্রেতাদের কেনাকাটা ছিল না বরং আসন্ন ঈদ উপলক্ষেও অনেকে এখন থেকেই টুকটাক কেনাকাটা শুরু করেছে।তবে ক্রেতারা অনলাইনে তাদের অর্ডারকৃত পণ্য হাতে পেয়ে অনেক খুশি ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি কারণ যেহেতু করোনার কারণে বাইরে বের হতে পারছেন না, আর আমরাও অনেক খুশি ক্রেতাদের পছন্দমতো পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের হাতে পৌঁছে দিতে পেরে।  

ইফফাত জাহান মিলা (স্বত্বাধিকারী, মৌমিলা/ MouMila)
পহেলা বৈশাখ মানেই কেনাকাটার ধুম পরে যায় সবার। লাল কিংবা সাদা অথবা হোক ভিন্ন রং। নতুন পোশাক যেন চাই-ই। সঙ্গে কাচের চুঁড়ি, মাটির বা মেটেলের গয়না। বুটিক শপগুলো সেজে ওঠে বৈশাখের আয়োজনে।ফুটপাতও পিছিয়ে থাকে না। কিন্তু গতবছর থেকে পরিস্থিতিটা একটু ভিন্ন।আগের মতো সেই রমরমা সাজসজ্জা নেই। তবে কি এটা প্রমাণিত একটা দরজা বন্ধ হলে আরেকটি দরজা খুলে যায়।

পহেলা বৈশাখ বলেন বা ঈদ। বাজারটা এখন জমে ওঠেছে অনলাইনে। যার জন্য অবশ্যই ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সাবেক প্রতিষ্ঠাতা রাজিব আহমেদ স্যারের কৃতিত্ব সবচেয়ে বেশি।  তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে দেশি পণ্যের ই-কমার্সের ভিত্তি তৈরি করেছেন। আর আমরা তার সুবিধা ভোগ করছি।

আমার উদ্যোগ ‘মৌমিলা’ থেকে অনেকেই কেনাকাটা করেছেন। তাতে বুঝতে পারছি সবার নববর্ষ বেশ ভালোই কাটবে। আর আমিও আলমারি খুলে একটা শাড়ি পরে একটু সাজুগুজু করে টপ করে কিছু ছবি তুলে নিয়েছি। আসলে পরিস্থিতি যেমনই হোক আমাদের মানিয়ে চলতে হবে।  তাইতো গৃহবন্দি থেকে এই সাদামাটা নববর্ষকে একটু রঙিন করে তোলার চেষ্টা করছি।

‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে সুচি হোক ধরা।’

মুমতাহিনা রহমান কেয়া (স্বত্বাধিকারী, Kayan's Rupoboti)  
পহেলা বৈশাখ, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নিজেদের রঙিন পোষাকে রাঙিয়ে তুলি আমরা। আগের দিনগুলোতে সাধারণত লাল-সাদা শাড়ি পরে নববর্ষ উৎযাপন করলেও আজকাল দেখা যায় রঙিন পোশাকের প্রাধান্য। শুধু লাল-সাদা তে সীমাবদ্ধ না থেকে সবাই নিজেদের বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে নিচ্ছে হাল ফ্যাশনের অংশ হতে।

ধুমধাম করে নববর্ষ পালন হচ্ছে না এবার। করোনাকালীন সময়ে বাইরে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি, শপিং সব বাদ হলেও নববর্ষ উদযাপন কিন্তু বাদ থাকছে না। এবার বাসাই নববর্ষ উদযাপন করছি আমরা সবাই। এই সময়ে শপিংয়ের জন্য একমাত্র ভরসা অনলাইন শপগুলো। বাইরে না বেরিয়ে নিরাপদে কেনাকাটা করতে পারছি নিজের পছন্দের পোশাক ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। কোথাও যেতে না পারলেও ঘরে বসে উদযাপন করতে চেয়েছি একমাত্র সন্তানের দ্বিতীয় নববর্ষ। মেয়ের জন্য পছন্দ করেছিলাম আমাদের ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি। নতুন বছর আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ.... শুভ নববর্ষ।

ঢাকা/সিনথিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়