ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

অনলাইনে চাহিদার শীর্ষে হিমসাগর আম

উদ্যোক্তা/ই-কমার্স ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২৯ মে ২০২১  
অনলাইনে চাহিদার শীর্ষে হিমসাগর আম

চলছে মধুমাস। একে তো জ্যৈষ্ঠের ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে মৌসুমি ফলের বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। করোনার প্রকপ অব্যহত থাকায় অনলাইনেও ফলের বাজার জমেছে বেশ। আম সিজনাল ফল হলেও রয়েছে এর বিভিন্ন প্রকারভেদ। বাংলাদেশের অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে হিমসাগর একটি। সুগন্ধজাত, সুস্বাদু অত্যন্ত রসালো এবং আঁশ বিহীন এই আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই শীর্ষে রয়েছে। ফলটি নিয়ে অনলাইন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের থেকেই জেনে নেওয়া যাক তাদের মূল্যবান মন্তব্য-

রাজধানীতে বসবাসকারী অনলাইন ক্রেতা পাপড়ি বলেন, ‘আম খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তো এই দেশে নেই। এই কারণে গ্রীষ্মকাল আমার অনেক প্রিয় একটি ঋতু । পুরো ঋতু জুড়েই রয়েছে বিভিন্ন প্রকার আমের সমারোহ। কাঁচা থেকে শুরু করে পাকা আম আসা অবধি প্রতিদিন বাজার থেকে আম আনতেই হবে বাড়িতে।

ফলের মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দ ও ভালোলাগার তালিকায় প্রথমে আছে হিমসাগর এবং অবশ্যই তা রাজশাহীর হতে হবে। দ্বিতীয় তালিকায় থাকছে রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম। হিমসাগর আমটি বাংলাদেশের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাতে বেশি চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখন সাতক্ষীরাতেও এই আমের চাষ হয়ে থাকে। তবে আমার কাছে রাজশাহীর আম সেরা মনে হয়। হিমসাগর আমের স্বাদ এবং সুগন্ধ অন্যান্য আমের থেকে অনেক ভিন্ন। সবচেয়ে মজার বিষয় এই আমের কোনো আঁশ থাকেনা, শ্বাস নরম এবং খেতে খুবই সুমিষ্ট হয়। সাধারণত হিমসাগর আম সংগ্রহ করার পাঁচ ছয় দিনের মধ্যেই খেতে হয়। তানা হলে এই আমের আসল স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। আসলে হিমসাগড় আমের যদি কোন খারাপ দিক বলতে হয়, তাহলে আমি বলবো এটি বেশি দিন সংগ্রহ করা যায় না। এটিই একমাত্র বলা যেতে পারে । বেশি রসালো, মজানো এবং আঁশযুক্ত আম আমার পছন্দ নয়, বিধায় হিমসাগর আম আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে’।   

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা অনেকেই আমের রাজা বলতে ল্যাংড়াকেই জেনে এসেছি। কিন্তু আমি এই কথার সঙ্গে একমত হতে পারিনি। আমার কাছে মনে হয় আমের রাজা হওয়া উচিত হিমসাগর। শুধু কি তাই, হিমসাগড় আমের আটির অংশের চেয়ে শাসের পরিমাণ বেশি থাকে। এত আমের ভিড়েও হিমসাগর আম ছাড়া গ্রীষ্মকালকে ভাবাই যায় না। 

ফলের বাজারে আম কিনতে গেলে মনের মধ্যে একটা খটকা লাগে। এত  আমের মাঝে আসলে কোনগুলো খাঁটি হবে! ভাবি এগুলো রাসায়নিক ভাবে পাকানো কিনা? এই নিয়ে অনেক দ্বিধাদ্বন্দের  মাঝে পরতে হয়। তবে অনলাইন বিজনেস মানুষের অনেকটা ভরসার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে এবং আমার কাছেও। তাই আমার প্রতিদিনের কেনাকাটায়  অনেক অংশে অনলাইন নির্ভর হয়ে পরেছি। আমের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়’। 

বিডিম্যানগ্রোভ ডটকমের স্বত্তাধিকারী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ই-কমার্স আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। প্রতিনিয়ত দৈনন্দিন জীবনের সকল পণ্য আমরা খুব সহজেই ই-কমার্সের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছি। আম মৌসুমী ফল হওয়াই সবসময়ই আমের প্রতি মানুষের আলাদা চাহিদা রয়েছে। অনলাইনের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বাড়ায়, দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষ এখন সহজেই মেহেরপুরের আম খেতে পারছে। এই অঞ্চলের বিখ্যাত হিমসাগর আম সবসময়ই ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকে। আর ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে এই চাহিদার মাত্রা আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশ কিছু অনলাইন পেজে মেহেরপুরের বিখ্যাত হিমসাগর আম ফরমালিন মুক্ত ও ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।

আমরা অনেকেই আমের শহর রাজশাহী হলেও মেহেরপুরের আমও স্বাদে,গন্ধে অতুলনীয়। মেহেরপুরের হিমসাগর আম দেশ ছাড়িয়ে রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে। এই অঞ্চলের হিমসাগর আম বাংলাদেশের মধ্যে স্বাদের দিক থেকে প্রথম। এবছর অনলাইন ক্রেতাদের থেকেও হিমসাগর আমের ব্যাপক চাহিদা দেখা গিয়েছে। সঠিক ভাবে আম সংরক্ষণ ও পরিবহন ব্যবস্থায় আর একটু খরচ কম হলে, দেশের প্রতিটি জেলার আমের চাহিদা কয়েকগুণ বাড়বে’।

ঢাকা/সিনথিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়