পাখির বাসা দেখে কী বোঝা যায় বৃষ্টি বেশি হবে নাকি কম হবে?
অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
পাখির বাসা। ছবি: সংগৃহীত
পাখিরা কখনও গাছের উঁচু শাখাতে বাসা বাঁধে আবার কখনও নিচু শাখাতে বাসা বাঁধে। গাছের কোথায় বাসা বাঁধছে, এই দেখেই কৃষকেরা বুঝতে পারেন বর্ষাকালে বৃষ্টি বেশি হবে নাকি কম হবে।
জানা যায়, পাখি গাছের উঁচুতে বাসা বাঁধলে এর অর্থ কম বৃষ্টি হবে। পাখি গাছের নিচের দিকে বাসা বাঁধলে তার অর্থ প্রচুর বৃষ্টি হবে।–এ হলো আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানার এক প্রাচীন পদ্ধতি। এখনও এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ভারতের ধারাশিভ এলাকার কৃষকেরা কাজ করে চলেছেন।
এলাকাটিতে খুব কম বৃষ্টিপাত হয়। তারমধ্যেও স্থানীয় কৃষকেরা ঠিকই তাদের জমিতে ঠিকই ফসল ফলান। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তারা এই কৌশল রপ্ত করেছেন। কিন্তু গত এক বছরে এই অঞ্চলে আচমকা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেড়েছে। আখ এবং সয়াবিন এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ফসল।
ওই অঞ্চলে নারী কৃষকেরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য জমির এক মাটি খুঁড়ে পানি সংরক্ষণ করেন তারা। এই পদ্ধতিতে এক ফসলি চাষাবাদ ছেড়ে একাধিক ফসল ফলাতে পারছেন।
এই অঞ্চলের এক নারী কৃষক সংঘমিত্রা। তিনি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করেন না, বরং নিজেই প্রয়োজনীয় সার উৎপাদন করেন। ‘এসএসপি’ থেকে তিনি এই চাষ পদ্ধতি শিখেছেন। এই সংগঠনটি বিশ বছরের বেশি সময় ধরে নারী অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। নারী কৃষকেরা পরিবেশ বান্ধব উপায়ে চাষাবাদ শিখছেন।
এখানকার নারীরা কৃষিকাজ করেন। ফসল তোলা শেষ হলে তাদের স্বামীরা সেই ফসল বাজারে বিক্রি করেন। নারীদের লাভ শূন্য। নারীরা যাতে পরিবারের কাজ থেকে জমির অধিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে সাহায্য করে আসছে কিছু সংগঠন। সংগঠনের প্রচেষ্টায়- এই জেলায় দুই শতাংশ নারী তাদের নিজেদের নামে জমি পেয়েছেন।
কিরণ মানে, সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এসএসপি বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, নারীরা যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকেন এবং আয় করেন তাহলে পুরো পরিবার উপকৃত হবেন। এবং নারীরাও কর্মব্যস্ত থাকবে। তাই আমি প্রতিটি পরিবারের পুরুষ কৃষকদের বলা শুরু করলাম-আপনার কাছে দশ একর জামি থাকলে তার এক একর নারীকে নিজের মতো করে চাষ করতে দিন। ’’
সূত্র: ডয়চে ভেলে
ঢাকা/লিপি