ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন জন কেরি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১২   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন জন কেরি

রাইজিংবিডি২৪.কম:

জন কেরিই শেষ পর্যন্ত পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এরই মধ্যে তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন। হিলারি ক্লিনটনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন কেরি। পররাষ্ট্র দফতরের একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায় প্রেসিডেন্ট ওবামা রোববার জন কেরি ও হিলারিকে নিয়ে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। এ সপ্তাহেই বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই এই ঘোষণা দেবেন।
তবে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর জন কেরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছিলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই। নিউ ইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটির মধ্যেও এ বিষয়টিতে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার নিশ্চিত খবর পাওয়ার পর বাঙালি কমি্উনিটির অনেকেই মনে করছেন, তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজন হার্ডলাইনার হবেন এবং তা বাংলাদেশের মতো সন্ত্রাস বিরোধী রাষ্ট্রের জন্য ভালোই হবে। তবে অনেকে এও মত দিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারকে তথা রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও সন্ত্রাসবিরোধী দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।

নিউইয়র্ক তথা প্রবাসী বাংলাদেশিরা নাফিসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না।

এদিকে ওই বৈঠকের পর রোববার রাতে প্রেসিডেন্ট ওবামা কানেক্টিকাটের নিউ টাউনে গেছেন। সেখানে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান তিনি।

২০০৪ সালে ডেমোক্রেট দল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীতার লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছিলেন জন কেরি। বতর্মানে সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সুসান ‍রাইস পররাষ্ট্র মন্ত্রীর লড়াই থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। রাইসের নাম প্রত্যাহারের বিষয়টিই কেরির পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পথকে সহজ করে দেয়।

লিবিয়ার বেনগাজিতে ১১ সেপ্টেম্বরের ভয়াবহ হামলার পর সমালোচনার মুখে পড়েন সুসান রাইস। অনেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা সুসান রাইসের শীর্ষ কূটনীতিকের পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জোরালো বিরোধিতা করেন। অনেক প্রভাবশালী রিপাবলিকানও কেরির ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।

হিলারির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সুসান রাইস ওবামার প্রথম পছন্দ ছিলেন। সুসান রাইস তার বর্তমানে পদে থাকতে পারেন বা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে তাকে। আর যদি নতুন কোন দায়িত্ব পান তাহলে সম্ভবত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন সুসান।

নিজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে হিলারির প্রথম পছন্দ ছিল জন কেরি। পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিতে সিনেটর রবার্ট মেন্ডেজ জন কেরির স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন।

তবে ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর কে হবেন সেটি নিয়েই এখন আলোচনা বেশি। ধারনা করা হচ্ছে সেখানে রিপাবলিকান স্কট ব্রাউন পুননির্বাচনে লড়বেন কেরির পদটি দখল করে নিতে। নভেম্বরের গোড়ায় নির্বাচনে স্কট সিনেটর লড়াইয়ে হেরেছেন এলিজাবেথ ওয়ারেনের কাছে।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, জানুয়ারিতেই পদত্যাগ করতে পারেন হিলারি ক্লিনটন। পদত্যাগের পরে কি করবেন তা ঠিক করতে কিছু সময় নেবেন হিলারি ক্লিনটন। ২০১৬ সালে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার লড়াইও করতে পারেন হিলারি।

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়