ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দরজায় তালেবানের চিঠি: আত্মসমর্পণ নতুবা মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ৩১ আগস্ট ২০২১  
দরজায় তালেবানের চিঠি: আত্মসমর্পণ নতুবা মৃত্যু

সকালে ঘুম থেকে উঠেই দরজায় আটকানো নোটিস দেখে মেরুদণ্ড দিয়ে হিমস্রোত বয়ে গেছে এক সময় পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গ দেওয়া আফগানদের। রাতে দরজায় রেখে যাওয়া চিঠিতে লেখা রয়েছে, আত্মসমর্পণ কর, নইলে মৃত্যুদণ্ডকে বেছে নিতে হবে। আর এই চিঠি পাঠানো হয়েছে খোদ তালেবানের কাছ থেকে।

এমনই চিঠি পেয়েছেন ৩৪ বছরের নাজ। ছয় সন্তানের জনক নাজ হেলমান্দ প্রদেশে যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীকে সড়ক নির্মাণ এবং ক্যাম্প বাস্তিয়নে রানওয়ে নির্মাণে সহযোগিতা করেছিলেন। ব্রিটেনে আফগানদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় লন্ডনে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন নাজ। তবে তার সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল যুক্তরাজ্য দূতাবাস।

চিঠির ব্যাপারে নাজ বলেন, ‘চিঠিটি দাপ্তরিক এবং এতে তালেবানের সিলমোহর আছে। এটা স্পষ্ট বার্তা যে তারা আমাকে হত্যা করতে চায়। আমি যদি আদালতে যাই, তাহলে আমি আমার জীবন দিয়ে শাস্তি পাব। আমি যদি না যাই তাহলে তারা আমাকে হত্যা করবে-এ কারণে আমি লুকিয়ে আছি, পালানোর উপায় খুঁজছি। আমার সাহায্য প্রয়োজন।’

চিঠি পাওয়া আরেক ব্যক্তি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অনুবাদক হয়ে কাজ করেছিলেন। তাকে ‘অবিশ্বাসীদের গোয়েন্দা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

রাতে চিঠি পাওয়া হচ্ছেন এক অনুবাদকের ভাই। তার ভাইকে যাতে আশ্রয় দেওয়া না হয় চিঠিতে সেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আর আশ্রয় দিলে তাকে শাস্তি হিসেবে দেওয়া হবে মৃত্যুদণ্ড।

আফগানিস্তানে হুমকি বা কোনো সতর্কবার্তা দেওয়ার ঐতিহ্যবাহী মাধ্যম হচ্ছে চিঠি। এর আগে সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময় মুজাহিদিনরা এবং পরবর্তীতে তালেবানরা প্রোপাগাণ্ডার মাধ্যম ও হুমকি দিতে চিঠি ব্যবহার করতো।

প্রসঙ্গত, ২০ বছরের দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে সোমবার আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিয়েছে সব পশ্চিমা সেনা। বিপুল সংখ্যক আফগান এই সেনাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এদের অনেককে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ প্রত্যাবাসন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে গেলেও ফেলে রেখে গেছে বহু সাবেক সহযোগীকে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ