টোঙ্গায় অগ্ন্যুৎপাত: সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গার উপকূলে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সুনামি আঘাত হেনেছে। সুনামির আশঙ্কা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানও। তবে পরে ওই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের অস্বাভাবিক স্রোতের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দ্য প্যাসিফিক টিসুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার (পিটিডব্লিউসি) একথা জানায়। এর আগে সুনামি সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান। সে সময় দেশ দুটি তাদের নাগরিকদের উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরের কোনো নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

এদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, সুনামির কারণে টোঙ্গার রাজধানী নুকু'আলোফায় অনেক নৌকা ডুবে গেছে। আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে আবৃত্ত হয়ে গেছে পুরো রাজধানী। তবে বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রয়েছে। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারনে আমরা সেখানে বিমান বাহিনীর একটি প্লেন পাঠাবো। সবচেয়ে ভালো খবর হল এখন পর্যন্ত ওই দেশটিতে কারও নিহত বা আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, টোঙ্গায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। আমরা সেখানে সব ধরনের সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছি। 

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) টোঙ্গার উপকূলে হুনগা টোঙ্গা-হুনগা হাপাই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। এর জেরে দেশটির দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। সে সময় টোঙ্গার আবহাওয়া দপ্তর দেশজুড়ে সুনামি সতর্কতা জারি করে। 

জানা গেছে, টোঙ্গার রাজধানী নুকু'আলোফা থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ওই আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুৎপাতের পর রাজধানী পর্যন্ত ছাই উড়ে আসার খবর পাওয়া গেছে। টোঙ্গার ভূতাত্ত্বিক বিভাগ জানায়, আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণের পর ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্যাস, ছাই ও ধোঁয়া পৌঁছে যায়। এ সময় সমুদ্রে কয়েক মিটার উচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। 

সূত্র: বিবিসি।